জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বিকালে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের যখন অধিবেশন চলছে, সেই সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত হন ইমরান।
শনিবার যখন তার বিরুদ্ধে তোলা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি চলছিল, তখন তিনি পার্লামেন্টে ছিলেন না। তার দলের বেশিরভাগ এমপিও অনুপস্থিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৭৪-০ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়।
ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে রোববার রাতে পিটিআই সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। সোমবার পার্লামেন্টে উপস্থিত সাংবাদিকরা ওই বিপুল জমায়েতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইমরান বলেন, “ইজ্জত তো দিতে পারেন আল্লাহ।”
পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটির আগে পিটিআইয়ের এমপিরা এদিন পার্লামেন্ট থেকে গণ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান। তবে পরে পদত্যাগ না করে তারা অধিবেশন বয়কট করেন।
জিও নিউজ লিখেছে, ইমরান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর পিটিআইয়ের সংসদীয় দলের এটাই ছিল প্রথম সভা। অনেককে বিস্মিত করে দলীয় নেতাদের অনেকের আগেই পার্লামেন্টে পৌঁছান তিনি।
পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় জোটের নেতা শাহবাজ শরিফ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পাচ্ছেন। তাই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।