রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের
নির্বাচনে এ দুই প্রার্থী ২৪ এপ্রিলের রানঅফ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য মনোনীত হয়েছেন,
তাদের মধ্যে ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বেই
চূড়ান্ত হবে ।
প্রথম পর্বে ভালোভাবে উৎরে গেলেও
দ্বিতীয় পর্বের চূড়ান্ত ভোটে ম্যাক্রোঁ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন বলে মতামত
জরিপগুলোতে আভাস পাওয়া গেছে, জানিয়েছে বিবিসি।
“কোনো ভুল করা যাবে না, এখনও
কিছুই নির্ধারিত হয়নি,” উল্লসিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ম্যাক্রোঁ।
নিজের ভোট দেওয়ার পর বুথ থেকে বের হচ্ছেন ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালির নেতা ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মারিন লু পেন। ছবি: রয়টার্স
অপরদিকে লু পেন ম্যাক্রোঁ বিরোধী
প্রত্যেক ভোটারকে তার পক্ষে যোগ দেওয়ার ও ‘ফ্রান্সকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার’ আহ্বান
জানিয়েছেন।
৯৭ শতাংশ ভোট গণনার পর ম্যাক্রোঁ
দেখা গেছে, ম্যাক্রোঁ ২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, লু পেন ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং অপর প্রতিদ্বন্দ্বী
জা লুক মিনশঁ ২১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
‘কিংমেকারের’ অপ্রত্যাশিত
ভূমিকায় কট্টর বামপন্থিরা
ঝানু রাজনীতিক কট্টর বামপন্থি
প্রার্থী জা লুক মিনশঁ পাঁচ বছরে আগের চেয়ে এবারের নির্বাচনে আরও ভালো ফলাফল করে এখন
কিংমেকারের অপ্রত্যাশিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
“মারিন লু পেনকে একটা ভোটও দেবেন
না আপনারা,” সমর্থকদের সতর্ক করে বলেছেন তিনি।
লু পেনকে ভোট না দেওয়ার জন্য
বললেও ম্যাক্রোঁর পক্ষে স্পষ্ট কোনো সমর্থন জানাননি তিনি।
রোববার রাতে ভোট গণনার শেষ দিকে
মিনশঁয়ের সমর্থকরা তার প্রধান নির্বাচনী কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়েছিলেন, তাদের প্রার্থী
প্রথম পর্বের ভোটে দ্বিতীয় স্থান পেতে পারেন এমন আশা করছিলেন তারা, কিন্তু তা হয়নি।
মোট ভোটের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি
পাওয়া মিনশঁয়ের ভোটাররাই চূড়ান্ত পর্বের নির্ধারক হয়ে দাঁড়াতে পারে, তবে তাদের অনেকেই
দ্বিতীয় পর্বে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে বলে ধারণা বিবিসির।
নির্বাচনে মোট ১২ জন প্রার্থী
থাকলেও আলোচিত তিন জনই শুধু ১০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। অন্য নয় প্রার্থীর কারোই
রানঅফের জন্য মনোনীত হওয়ার কোনো আশা নেই, এমন ধারণা থেকে তাদের ভোট দেননি অনেক ভোটার।
রানঅফের প্রচারণা শুরু
দ্বিতীয় পর্বে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে।
ঝানু রাজনীতিক কট্টর বামপন্থি প্রার্থী জা লুক মিনশঁ। ছবি: রয়টার্স
বিবিসি জানিয়েছে, আরেক কট্টর
জাতীয়তাবাদী প্রার্থী এরিক জেমুরের ভোটারদের নিজের পক্ষে ধরে নিতে পারেন লু পেন। জেমুর
৭ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছে। আরেক জাতীয়তাবাদী প্রার্থী নিকোলা ডুপেয়েঁ নিঁও (২
দশমিক ১১ শতাংশ ভোট) পেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
এদের সমর্থন নিয়ে ইতোমধ্যে মোট
ভোটের ৩৩ শতাংশ লু পেনের পক্ষে আছে, এমন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
অপরদিকে বামপন্থি বেশিরভাগ প্রার্থী
ম্যাক্রোঁকে সমর্থন দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে; ভ্যালেরি পিক্রেস (৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ
ভোট) এদের অন্যতম। ইতোমধ্যে ম্যাক্রোঁর দল বড় বড় সমাবেশ ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা
করেছে।
জনমত জরিপ
ইফপের জরিপকারী ফ্রাসোয়াঁ ডেবি
জানিয়েছেন, তাদের জরিপে ম্যাক্রোঁর পক্ষে ৫১ ও লু পেনের পক্ষে ৪৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের
চিত্র পাওয়া গেছে। বিএফএমটিভির জরিপে দুই প্রার্থীর পক্ষের সমর্থন ৫২ ও ৪৮ শতাংশ বলে
উঠে এসেছে।