এই যাত্রায় প্রথম সনদ পেয়েছে অলিম্পিক
ইন্ডাস্ট্রিজের ৩টি প্রতিষ্ঠান, যে শিল্পগ্রুপটির মালিকদের মধ্যে রয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী
আজিজ মোহাম্মদ ভাই।
সোমবার অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের তিনটি
প্রতিষ্ঠানের নয়টি পণ্যের অনুকূলে ‘হালাল সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস
অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
প্রায় চার যুগ পুরনো অলিম্পিক গ্রুপের
অনেকগুলো খাদ্যপণ্য দেশে বেশ পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে এনার্জি প্লাস বিস্কুট, টিপ বিস্কুট,
ডায়াজেস্টিভ বিস্কুট, পালস চকলেট।
অর্ধ শতাধিক ধরনের বিস্কুট, কুকিজসহ
খাদ্যপণ্য তৈরির পাশাপাশি অলিম্পিক ব্যাটারিও এই কোম্পানির বহুল বিক্রিত পণ্য।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা
পরিচালকের পদে এখন রয়েছেন আগা খান ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুবারক আলী। কোম্পানির
পরিচালক আজিজ মোহাম্মদ ভাই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যামামলার আসামি হওয়ার পর বিদেশে
পাড়ি জমিয়েছেন।
হালাল সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ কার্যক্রম
শুরুর কথা জানিয়ে বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. নজরুল আনোয়ার বলেন, হালাল সংক্রান্ত তিনটি
আন্তর্জাতিক মানকে বাংলাদেশ মান হিসেবে গ্রহণ করে সে অনুসারে সনদ দেওয়া হচ্ছে।
ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অন্তর্ভুক্ত
দেশগুলোর হালাল মানসনদ বিষয়ক সংস্থা (এসএমআইআইসি) স্মিক’র সদস্য হিসেবে এবং দেশীয় পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য এ উদ্যোগ
নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
হালাল পণ্য বিভিন্ন দেশেই প্রচলিত।
ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী যে পণ্য গ্রহণে মুসলমানদের বাধা নেই, সেই পণ্যই হালাল হিসেবে
স্বীকৃত।
বিএসটিআইর হালাল সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ এবং মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, কওমি মাদ্রাসার
প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়।
এছাড়াও যুক্ত রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়,
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর,
জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, এফবিসিসিআই, বিসিআই, ডিসিসিআই, ক্যাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও ফার্মেসি বিভাগ।