জোয়ারের সময়
নিকটস্থ খাল হয়ে কুমিরটি ওই ঘেরে এসে থাকবে বলে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন
কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান।
তিনি বলেন, উপজেলার
বুড়িরডাঙ্গা এলাকার আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার চিংড়ির ঘেরে মঙ্গলবার সকালে
কুমিরটি দেখতে পান। ওই ঘেরের পাশে একটি ছোট খাল আছে, যা সুন্দরবনের পশুর নদের সঙ্গে
সংযোগকারী গোনা নদীর শাখা। জোয়ারের সময় এই পথে কুমিরটি বুড়িরডাঙ্গার ওই ঘেরে চলে আসে বলে ধারণা
করা হচ্ছে।
আজাদ বলেন, লবণপানির
কুমিরটি লম্বায় ৫ ফুট, ওজন ১০ কেজি, বয়স ৮-৯ বছর হতে পারে। উদ্ধারের পর কুমিরটিকে
সুন্দরবনের জোংড়ার খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত
২৯ মার্চ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় শ্রীরম্ভা গ্রামে বসতবাড়ির পুকুর থেকে একটি
এবং ১১ মার্চ একই উপজেলার বগুড়া খাল থেকে দুটি কুমির উদ্ধারের পর অবমুক্ত করা হয়।
বনকর্মীরা
বলছেন, সুন্দরবনের নদ-নদীতে খাদ্যসংকট, দূষণ ও জাহাজ চলাচল বৃদ্ধির কারণে বারবার
পাশের লোকালয়ে কুমির চলে আসছে বলে তাদের ধারণা।