সোমবার রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার গ্রুপে কাউসার হোসেন আপন নামে একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার এক বান্ধবীর কথা কাটাকাটি হয়। ওই বান্ধবীর স্বামী রিয়াজ হোসেনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। কথা কাটাকাটির বিষয়টি ওই বান্ধবী রিয়াজকে জানালে রিয়াজ তার হলের বন্ধুদের জানান।
এর জেরে সোমবার ইফতারের পর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কয়েকজর ছাত্র হাতাহিতে জড়িয়ে পড়েন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও শাখা ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার কাউসার হোসেন আপন বলেন, “ইফতারের পর রবিন ও আলভির আমার কাছে এসে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। আমি বিষয়টি আমার সিনিয়র ভাই ও বন্ধুদের জানালে তারা ওদের সাথে কথা বলতে যায়। এ সময় তারা আবারও আমাদের মারধর করেন।”
আলভির ভূইঁয়া বলেন, “ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আপনের সাথে ধাক্কা লাগলে তাকে কোন ব্যাচ জিজ্ঞেস করি। এ নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সে আমার জামার কলার ধরলে আমরা দুজন তাকে থাপ্পড় দেই। পরে বঙ্গবন্ধু হলের সেলিমসহ কয়েকজনের সাথে হাতাহাতি হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, “তুচ্ছ একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। সেটা মীমাংসা করতে গেলে একটা গুজব উঠে কিছু হট্টগোল হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বসেছি। এর পিছনে যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।”
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “আমরাসহ প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম। শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমরা দেখেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, “আমরা প্রক্টরিয়াল টিম ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। এখন যেহেতু উভয় পক্ষ উত্তেজিত, তাই আজকে আর বসব না। আমরা প্রক্টরিয়াল টিম মঙ্গলবার উভয় পক্ষের সাথে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”