খুলনা জেলা কারাগারের কারাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা মেনে রোববার দুপুরে কারাগারের অফিস কক্ষে জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে দেড় লাখ টাকা দেনমোহরে বর রফিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে কনের বিয়ে হয়। দুই পরিবারের সদস্যরাও সেখানে ছিলেন।
জেলার জানান, বাবু তার এলাকার একটি বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। ওই বাড়ির গৃহকর্মী ছিল ১৫ বছরের ওই কিশোরী। বাড়ির গৃহকর্তা ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেয়েটিকে ‘ধর্ষণ করেন’ বাবু। তাতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মামলা হওয়ার পর বাবুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মেয়েটিকে রাখা হয় বাগেরহাটের সেইফহোমে। সেখানেই তার সন্তানের জন্ম হয়।
তারিকুল ইসলাম বলেন, “বাবু আইনজীবীর মাধ্যমে মেয়েটিকে বিয়ের শর্তে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। সেখান থেকে আদেশ আসে বিয়ের। আদেশে বলা হয়, বিয়ের পর বাবুর জামিনের আবেদন বিবেচনা করা হবে।”
সোমবার পর্যন্ত বর ও কনে কারা হেফাজতেই ছিলেন। মঙ্গলবার কনেকে বাগেরহাটের দশয়ানি সেইফ হোমে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন খুলনার জেল সুপার ওমর ফারুক।