এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে রয়েছেন-উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদরুল আলম বিটুল।
শনিবার রাত ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের তিলছড়া গ্রামে মান্নান শিকদার বাড়িতে এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় বিটুল ও তার ভাই বাদল মোল্লাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কাশিয়ানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মান্নান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান বদরুল আলম বিটুলকে আমরা সমর্থন দেইনি। আমরান পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদাউস হোসেনকে সমর্থন দিয়েছিলাম। এ নিয়ে বিটুলের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
“এরই জের ধরে শনিবার রাতে বিটুল ও তার লোকজন লোহার রড, চাপাতি, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তাদের বাধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার স্ত্রী ডলি বেগমকে (৫০) এলোপাতাড়ি মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা।”
হামলাকারীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় বলেও মান্নানের অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বিটুল বলেন, “আমি ভাঙচুরের বিষয় কিছুই জানি না। মান্নান ও তার পক্ষের লোকজনরা নিজেরা ভেঙে আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করার চেষ্টা করছেন।”
মামলার না নেওয়ার বিষয়ে কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান বলেন, “ভূক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে তাদের পূর্ণাঙ্গ অভিযোগের প্রাপ্তির সাপেক্ষে আমরা আইনাগতভাবে মামলা রেকর্ড করব।’