মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের
বিচারক আব্দুল হালিম এই রায় দেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় নব্য জেএমবি সদস্য রাকিবুল
হাসানকে ওই সাজা দেওয়া হয়। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোদালকাটা সরকার বাড়ির
মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের পিপি মনোরঞ্জন দাশ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামি রাকবুলকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)
ধারায় ৫ বছর এবং ৮ ধারায় ছয় মাস ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই মামলায় আরেক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক জানিয়ে তিনি বলেন,
“এজাহারে তার বয়স ২২ বছর উল্লেখ ছিল। কিন্তু কাগজপত্র ও অন্যান্য তথ্য যাচাই করে দেখা
যায় সে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সেজন্য আলাদাভাবে শিশু আদালতে বিচার করা হচ্ছে।”
রায় ঘোষণার পর আসামি রাকিবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের
(সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট নগরীর সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ী এলাকার
পোর্ট সিটি হাউজিং সোসাইটির ‘মিনু ভবন’র পঞ্চম তলার ভাড়া বাসা থেকে ওই দুই জঙ্গিকে
গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের সময় ওই বাসা থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড, দুটি
স্কেচ ম্যাপ, দুটি সুইসাইড ভেস্ট এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, তারা নব্য-জেএমবির
সদস্য এবং নগরীর সদরঘাট থানায় আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি
করে। এই মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায় দেওয়া হল।
চট্টগ্রামে ১০টি গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি