কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে এবার ৬ সপ্তাহের জন্য ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন হাসান। এই কাউন্টিরই সন্তান অ্যান্ডারসন। ২০০২ সালে এই ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলে অভিষেক তার, এই দলের হয়ে খেলেই জায়গা করে নেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে এবং ক্রমে হয় ওঠেন কিংবদন্তি। এই মৌসুমেই ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের ২০ বছর পূর্ণ হচ্ছে তার।
৬৪০ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পেসার তিনি। এর বাইরে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়েও ৮৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৪০ উইকেট।
সেই অ্যান্ডারসনের সঙ্গেই এবার ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলবেন হাসান আলি। ইএসপিএনক্রিকইনফোকে পাকিস্তানি পেসার বললেন, নতুন অভিযানের জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।
“সুযোগটি দেওয়ার জন্য ল্যাঙ্কাশায়ার ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাই আমি। আমি খুবই রোমাঞ্চিত ও তাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করার অপেক্ষায় আছি। বিশেষ করে জিমি ভাই আছেন আমাদের, জিমি অ্যান্ডারসন। আমি তাই খুবই খুশি ও রোমাঞ্চিত।”
“সত্যি বলতে, আগে কখনোই তার সঙ্গে কথা হয়নি। তবে এখন তাকে অনেক অনেক প্রশ্ন করতে চাই। তাকে প্রচুর ডিস্টার্ব করব আমি (হাসি)। আমরা জানি, তিনি গ্রেট বোলার, দুই দিকে বল সুইং করাতে পারেন। তার কাছ থেকে শিখতে চাই, কিভাবে বল দুই দিকে সুইং করান তিনি, বিশেষ করে ক্রস-সিম ডেলিভারিতে। এটা আমি শিখতে চাই।”
এই ল্যাঙ্কাশায়ারেই এক সময় পা পড়েছিল ওয়াসিম আকরামের। পাকিস্তানি পেস কিংবদন্তি এই কাউন্টি ক্লাবের ইতিহাসেও আলাদা জায়গা নিয়ে আছেন। ১০ মৌসুম ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলেছেন তিনি। এই কাউন্টির হয়ে ৩৭৪ উইকেট তার, ৪ সেঞ্চুরিতে রান ৩ হাজারের বেশি। এই ক্লাবে তাকে ডাকা হতো ‘কিং’ নামে।
আকরামের সেই সাফল্যের কথা জানা আছে হাসান আলিরও।
“ছোট্টবেলা থেকেই সত্যি বলতে আমরা কাউন্টি ক্রিকেটের কথা শুনে আসছি। লোকে বলে, পেশাদার হিসেবে এখানে অবশ্যই খেলা উচিত, কারণ অনেক কিছু শেখা যায় এখান থেকে। আমি এখানে ওয়াসিম আকরামের পদাঙ্ক অনুসরণ করছি আমার জন্য এটা দারুণ সুযোগ।”
“তার (ওয়াসিম আকরাম) সঙ্গে আমার কথা হয়নি, অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের সঙ্গে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি এরকম কিছু বলছেন যে, ‘ল্যাঙ্কাশায়ারে সময়টা তুমি উপভোগ করবে।’ একজন কিংবদন্তি এটুকু বলেছেন, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট।”
একটা সময় ছিল, বিশ্বজুড়ে সব ক্রিকেটারের কাছে কাঙ্ক্ষিত ছিল কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা। এখন এই সময়টায় সবাই চায় আইপিএলে খেলতে। তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইপিএলে নেওয়া হয় না বলে কাউন্টিতে তাদের চাহিদা প্রবল। এবারই যেমন কাউন্টি ও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট মিলিয়ে ১০ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলবেন ইংলিশ ঘরোয়া ক্রিকেটে।
হাসান আলির মতে, পাকিস্তানের ক্রিকেট এতে সার্বিকভাবে উপকৃত হবে।
“পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এটা ভালো ব্যাপার। আমাদের ৯-১০ জন ক্রিকেটার এই মৌসুমে খেলবে এখানে, দল হিসেবে আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। এখান থেকে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা হবে এবং তা আমরা নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজে লাগাব।”