রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে শেষ মৌসুম থেকে চোট পিছু নিয়েছে তার। চোটে মাঠের বাইরে থাকা অবস্থাতেই গত গ্রীষ্মের দলবদলে ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে রিয়াল ছেড়ে যোগ দেন পিএসজিতে।
নতুন ক্লাবে এসেও শুরুর সময়টা সুখকর ছিল না রামোসের জন্য। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল কয়েক মাস। এরপর আরও কয়েক দফা মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে।
চোটের কারণেই খেলতে পারেননি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে উভয় লেগ। ওই লড়াইয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নেয় পিএসজি।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমে ৩৯২ মিনিট মাঠে ছিলেন রামোস। খেলেছেন মাত্র ৭ ম্যাচ, যার চারটিতে ছিলেন শুরুর একাদশে।
তাতে প্রশ্ন উঠছে, রামোসের কি শেষের শুরুটা হয়ে গেছে? অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় স্পেন ডিফেন্ডার অবশ্য তার ভক্তদের শুনিয়েছেন আশার বানী। ৩৬ বছর বয়সী এই সেন্টার-ব্যাকের বিশ্বাস, আরও কয়েক বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে পারবেন তিনি।
“আমি নিজেকে আরও চার বা পাঁচ বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে দেখি। এরপর (আমার) আরেকটি অভিজ্ঞতা হবে।”
“প্যারিসে আমার আরও দুই বছর (চুক্তির মেয়াদ) আছে, আমি চেষ্টা করব সেটাকে তিনে নেওয়ার, আমরা দেখব। যতক্ষণ আমার শরীর সাড়া দেবে, আমি মনে করি খেলা চালিয়ে যেতে মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত। এখন আমি খুব ভালো আছি, খুব খুশি এবং খেলতে মরিয়া।”
রামোসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এই মুহূর্তে থমকে আছে। চোটের কারনে লম্বা সময় ধরে স্পেন দলের বাইরে আছেন তিনি। খেলতে পারেননি গত বছরের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও।
স্পেন জাতীয় দলের হয়ে রেকর্ড ১৮০ ম্যাচ খেলা রামোস দেশের হয়ে জিতেছেন একটি বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।
চোটের কারণে দলের বাইরে যাওয়ার আগে স্পেনের অধিনায়কও ছিলেন রামোস। তবে দলটির কোচ লুইস এনরিকে যেভাবে কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল গোছাচ্ছেন, তাতে নামটা রামোস হলেও জাতীয় দলে ফেরাটা তার জন্য বেশ কঠিনই হবে।
জাতীয় দল ও ক্লাবের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিলেও রামোস বলেন, এখনও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছা আছে তার। স্পেনের হয়ে আবারও বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
“(জাতীয় দল ও ক্লাবের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে) এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। মাতৃভূমি ও নিজের দেশের প্রতি অনুভূতি সবসময় খুব বিশেষ কিছু। এই অনুভূতিটা এমন যে, আমি এ দলটার কাছে ঋণী… আমাকে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে হলে (ক্লাবের) হয়ে ভালো খেলতে হবে।”
“(জাতীয় দল ও ক্লাবে খেলা) দুটিই অন্যরকম অনুভূতি, আমি স্রেফ একটি বেছে নিতে পারি না, যদিও একমাত্র জাতীয় দলের হয়েই আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা করতে পারি।”