এক দিনে
শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা এর
চেয়ে কম
ছিল সেই
মহামারীর শুরুর
দিকে, ২০২০
সালের ৫
এপ্রিল; সেদিন
১৮ জনের
শরীরে সংক্রমণ
ধরা পড়েছিল।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটির
ধাক্কা সামলে
ওঠার পর
সংক্রমণ এখন
অনেকটাই কমে
এসেছে। গত
২৫ মার্চের
পর থেকেই
দেশে দৈনিক
শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা একশর
নিচে রয়েছে।
আর ৪
এপ্রিলের পর
তা ৫০
ছাড়ায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল
পর্যন্ত ২৪
ঘণ্টায় প্রায়
৬ হাজারের
মত নমুনা
পরীক্ষা করে
২২ জনের
কোভিড শনাক্ত
হয়।
তাতে নমুনা
পরীক্ষার বিপরীতে
শনাক্তের হার
দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আগের দিন
এই হার
ছিল শূন্য
দশমিক ৭১
শতাংশ।
নতুন রোগীদের
নিয়ে মহামারীর
মধ্যে এ
পর্যন্ত শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা
বেড়ে ১৯
লাখ ৫২
হাজার ১৩১
জন হয়েছে।
গত এক
দিনে কারও
মৃত্যু না
হওয়ায় মৃতের
মোট সংখ্যা
আগের মতই
২৯ হাজার
১২৪ জন
রয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে
সেরে উঠেছেন
আরও ৩৭৫
জন। তাদের
নিয়ে এ
পর্যন্ত ১৮
লাখ ৮৯
হাজার ৮৯
জন সুস্থ
হয়ে উঠলেন।
গত একদিনে দেশে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ১৭ জনই ঢাকা বিভাগের। তাদের মধ্যে ১৪
জন ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
দেশের ৫৮ জেলায় গত একদিনে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত একদিনে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট বিভাগে কোনো
নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে
রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০
অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশে।
আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ লাখ ৮১
হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৯৭ লাখের বেশি।