মঙ্গলবারও
দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া লোকজনকে সরিয়ে
আনতে উদ্ধারকারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ক্রান্তীয়
ঝড় মেগি, যাকে স্থানীয়ভাবে আগাটন বলা হচ্ছে, রোববার সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার বাতাসের
বেগ নিয়ে দ্বীপপুঞ্জটির ওপর দিয়ে বয়ে যায়। চলতি বছর এটিই এ ধরনের প্রথম ঝড়। ফিলিপিন্সে
বছরে গড়ে এ ধরনের ২০টি ঝড় হয়।
ঝড়টি পূর্ব
উপকূলজুড়ে বয়ে যাওয়ার আগে ওই অঞ্চলের ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ উঁচু জায়গাগুলোতে গিয়ে
আশ্রয় নিয়েছিল। ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, বাড়িঘর ও মাঠ
পানিতে তলিয়ে যায় এবং গ্রামগুলোতে ভূমিধস শুরু হয়।
কর্তৃপক্ষ
ও স্থানীয়দের শেয়ার করা ছবিতে উদ্ধারকারীদের কর্দমাক্ত জলাভূমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে ও
দ্রুত বয়ে যাওয়া নদীতে রবারের ডিঙ্গি ব্যবহার করে ডুবে যাওয়া বাড়ি ও বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়া এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
সোমবার লেইতে
প্রদেশের বেবে শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিধসে বহু মানুষ চাপা পড়ার পর ২২টি
মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ
সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণে দাভাও অঞ্চলে অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মঙ্গলবার ঝড়ের
তাণ্ডব কমার পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
চার মাস আগে
ডিসেম্বরে সুপার টাইফুন রাই ফিলিপিন্সের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোকে ধ্বংসস্তূপে
পরিণত করেছিল। তখন অন্তত ৩৭৫ জনের মৃত্যু ও প্রায় ৫ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।