বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতি দুটি দেওয়া হয়েছে সোমবার।
সেখানে লাইনে লাইনে ভুলগুলো চিহ্নিত করে ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন কেউ কেউ।
দুটি বিবৃতিতে এতগুলো বানান ভুল ‘তাড়াহুড়োর কারণে’ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
তার ভাষ্য, বিবৃতি দ্রুত প্রকাশ করার জন্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষ এক ‘শিক্ষার্থী’কে দিয়ে সেগুলো কম্পোজ করিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি বিষয়টি ‘খেয়াল রাখবেন’।
মন্সীগঞ্জের রাজকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেপ্তার, নওগাঁর শিক্ষক আমোদিনী পালকে ‘হেনস্তা’ এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের’ প্রতিবাদ জানিয়ে এ ধরনের ঘটনা’ বাংলাদেশের জন্য ‘অশনি সংকেত’ বলে বিবৃতি দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সেখানে কয়েক ডজন বানান ভুল রয়েছে, ভুল হয়েছে দুটি স্কুলের নামও।
একই দিনে আরেক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরীক্ষায় নকল ধরায় শিক্ষক তানবীর হাসানকে টেলিফোনে ছাত্রনেতা রাজু মুন্সির হুমকি দেওয়াসহ ক্যাম্পাসের আরও কিছু ঘটনায় উদ্বেগ জানায় শিক্ষক সমিতি। সেখানেও অন্তত দুই ডজন শব্দ ভুল বানানে এসেছে। পাশাপাশি আছে ব্যাকরণের সমস্যা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলমান দুটি বিষয় নিয়ে শিক্ষক সমিতি দ্রুত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিতে দিয়ে এ ভুল করেছে।”
সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “সব সময়ই আমরা বানানের বিষয়গুলোতে সতর্ক ছিলাম। এবার কাজটি দ্রুত করায় আর খেয়াল করা হয়নি।
“যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে আমার স্বাক্ষর আছে, সেহেতু বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। ভবিষ্যতে এমনটা যেন না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব।”
এ বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।