কমিটির
প্রধান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরিন বাঁধ পরিদর্শনের
মধ্য দিয়ে এই কাজ শুরু করেন।
তার
সঙ্গে কমিটিরি অন্য সদস্যরাও ছিলেন।
পরিদর্শনকালে
সালমা জাফরিন সাংবাদিকদের বলেন, তারা সরাসরি বাঁধ পরিদর্শন করছেন। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি
হয়ে থাকলে তা তুলে ধরে সবিস্তর প্রতিবেদন জমা দেবেন।
দ্রুততম
সময়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা ছাড়
পাবে না।”
মঙ্গলবার
সকালে তারা জেলার ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরে ডুবাইল বাঁধ পরিদর্শন
করেন। বুধবার দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করবেন বলে
জানান।
ভারতের
মেঘালয়ে গত সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর
প্রধান বিভিন্ন নদ-নদীতে। ঝুঁকির মুখে পড়ে বোরো ফসল রক্ষায় নির্মিত অস্থায়ী বাঁধ।
কোথাও কোথাও বাঁধ ভেঙে কিছু ফসল তলিয়েও যায়। এসব বাঁধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
সালমা
জাফরিন বলেন, তদন্তে গিয়ে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বাঁধ নির্মাণে জড়িত
লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেনন।
কমিটির
অন্য সদস্যরা হলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী এনায়েত উল্লাহ, অতিরিক্ত
মহা-পরিচালক মাহবুবুর রহমান, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ
সিনহা, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়োয়ার উল হালিম ও পানিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোবাশশেরুল ইসলাম।
এর
আগে গত ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন গঠিত পাঁচ দস্যের তদন্ত দলও আলাদা কাজ
শুরু করেছে। এ কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার বিভাগের সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মো.
জাকির হোসেন। এ কমিটিকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।