মঙ্গলবার রমনা বটমূলে নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কিছু বন্ধু রাষ্ট্র জঙ্গিদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দিচ্ছে। উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করছে।”
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু রেডিক্যালাইজড সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ্য করছি। সেকারণেই আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা।”
তাছাড়া ২০০১ সালে রমনা বটমূলে জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে প্রতিবারেই বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয় জানিয়ে ডিএমপি কশিনার বলেন, “কোনো হামলার আশঙ্কা আমরা করছি না। যেহেতু নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না।”
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “লোন উলফ কেউ একটা ছুরি বা ব্লেড নিয়ে যদি হামলা করে, এটাতো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
পুলিশ কমিশনার জানান, রমনার বটমূলে প্রবেশে চেকপোস্ট থাকবে। সেখানে তল্লাশি করে তবেই ঢুকতে দেওয়া হবে। কোনো যানবাহন পহেলা বৈশাখে ওই এলাকায় চলবে না।
তিনি বলেন, রমনা এলাকায় সকালে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড দিয়ে ‘সুইপিং’ করেছে, সন্ধ্যায় এবং বুধবারও করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারির আওতায় থাকবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজন তুলে রাখতে হয়েছিল। সংক্রমণ কমে আসায় আসছে বৃহস্পতিবার ভোরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষণবরণ অনুষ্ঠান হবে। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের জন্য গতিপথ বদলে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে টিএসসি থেকে ভিসির চত্বর পর্যন্ত রাস্তায়।
তবে পহেলা বৈশাখে রমনায় কেউ মুখোশ পরে ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, “মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে পারবে না। প্রথমে তল্লাশি করে যাদের ঢোকানো হবে, তারাই শোভাযাত্রা শেষ করবে।”
এবার যেহেতু রোজা চলছে, রমনায় কোনো খাবারের দোকান থাকবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “রমনার লেকে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল থাকবে। ইভ টিজিং রোধে সাদা পোশাকে পুলিশের উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে।”