ক্যাটাগরি

লকডাউনে পার্টি: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন ও চ্যান্সেলরকে জরিমানা

মেট্রোপলিটন পুলিশ এরই
মধ্যে নির্ধারিত
জরিমানার নোটিশ
দেওয়া হবে
জানিয়ে দুইজনকেই
বার্তা পাঠিয়েছে
বলে নিশ্চিত
করেছে ১০
ডাউনিং স্ট্রিট।

লেবার নেতা কির
স্টারমার এই
দুই রাজনীতিবিদকে
পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবিসি জানায়, মেট্রোপলিটন
পুলিশ হোয়াইট
হল এবং
ডাউনিং স্ট্রিটে
লকডাউনের নিয়ম
ভঙ্গ করে
১২ টি
জমায়েতের অভিযোগ
তদন্ত করে
দেখছে।
এ পর্যন্ত
৫০ জনকে
জরিমানা করা
হয়েছে।

যাদেরকে জরিমানা করা
হয়েছে, পুলিশ
তাদের নাম
জানায়নি।
তবে তাদের
মধ্যে প্রধানমন্ত্রী
জনসন এবং
সুনাক থেকে
থাকলে তাদের
নাম প্রকাশের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন
১০ নং
ডাউনিং স্ট্রিট
এর মুখপাত্র
বলেছেন, কোন
পার্টি আয়োজনের
জন্য জরিমানা
করা হচ্ছে
সেটি তাদেরকে
জানানো হয়নি।

তবে লেবার নেতা
কির স্টারমার
বলেছেন, এতে
দেখা যাচ্ছে,
“কনজারভেটিভরা শাসন পরিচালনায় একেবারেই উপযুক্ত
না।”
যুক্তরাজ্যের এর চেয়ে আরও ভালোটাই
দরকার।

“প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
এবং রিশি
সুনাক নিয়ম
ভেঙেছেন এবং
ব্রিটিশ জনগণের
কাছে বারবার
মিথ্যা বলেছেন। তাদের দুজনকেই পদত্যাগ করতে
হবে।”

ওদিকে, লিবারেল ডেমোক্র্যাট
নেতা এড
ডেভি পার্লামেন্ট
অধিবেশন ডেকে
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আহ্বানের
ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সংকট জর্জরিত
এই সরকার
সংকটে থাকা
একটি দেশকে
অবহেলা করছে।”

২০২০ সালে লকডাউনের
মধ্যে মদপানের
পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী
বরিস জনসনের
উপস্থিত থাকার
খবরে শোরগোলের
মুখে তিনি
ক্ষমা চাওয়ার
পরই সামনে
আসে আরেক
পার্টি কেলেঙ্কারির
ঘটনা।

২০২১ সালের ১৬
এপ্রিলে রানি
দ্বিতীয় এলিজাবেথ
তার স্বামী
প্রিন্স ফিলিপের
মৃত্যুতে শোকে
মুহ্যমান থাকার
সময়ও জনসনের
ডাউনিং স্ট্রিটের
কার্যালয়ে কর্মীরা আরও দুটো মদের
পার্টি করেছিলেন
বলে খবর
প্রকাশ করে
দ্য টেলিগ্রাফ।

ওই সময়ও বদ্ধ
জায়গায় জনসমাগমের
ওপর নিষেধাজ্ঞা
ছিল।
প্রিন্স ফিলিপের
মৃত্যুতে তখন
চলছিল জাতীয়
শোক এবং
পরেরদিন (১৭
এপ্রিল) ছিল
ফিলিপের শেষকৃত্য।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস
জনসন সেই
পার্টিতে উপস্থিত
না থাকলেও
জাতীয় শোক
দিবস এবং
জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞার
মধ্যে ডাউনিং
স্ট্রিটে এমন
পার্টির কারণে
প্রশ্নের মুখে
পড়েন।
বার বার
ক্ষমা চেয়েও
তিনি রেহাই
পাননি।

বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি
উত্তপ্ত হয়ে
উঠলে প্রধানমন্ত্রীর
পদত্যাগের দাবি ওঠে। সেসময়ই ঘটনার তদন্ত শুরু
করে লন্ডন
মেট্রোপলিটন পুলিশ।