সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান জানান, সোমবার সকালে স্থানীয়রা ওই রোহিঙ্গাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে
তারা জানায়, কুতুপালং ফেরার পথে নৌপথে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে সোনাগাজীর সওদাগরহাটে পৌঁছায়
তারা।
পরে সোমবার রাতে তাদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো
হয় বলে জানান ওসি।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ধান গবেষণা
এলাকায় অপরিচিত ওই ৮ কিশোর-তরুণকে বিভ্রান্ত অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সন্দেহ
হলে স্থানীয়রা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তারা জানায়, তারা রোহিঙ্গা এবং নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলারে কুতুপালং যাওয়ার পথে বিপদে
পড়েছে।
বিষয়টি সোনাগাজী মডেল থানায় জানানো হলে পুলিশের একটি দল তাদের
থানায় নিয়ে যায়। আটক রোহিঙ্গারা পুলিশকে জানায়, তারা কুতুপালং
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকে। কয়েকদিন আগে নানা-নানুর কাছে বেড়াতে গোপনে ক্যাম্প থেকে নদী
পথে ভাসানচরে যায়।
তাদের দাবি, ভাসানচর থেকে কুতুপালংয়ে
ফেরার জন্য রুহুল আমিন মাঝি ও কাসেম মাঝি নামে দুজনের সাথে যোগাযোগ করে তারা কক্সবাজারের
ট্রলার ভাড়া করে। মাঝিরা তাদের
মোবাইল ফোন ও নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছোট ফেনী নদীর মুসাপুর তীরে ফেলে
ট্রলার নিয়ে চলে যায়।
ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান বলেন, “জেলা পুলিশের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কথা বলে আটক রোহিঙ্গা
কিশোরদের কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।”