বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য
আলুবোখারার প্রচলন বহু আগে থেকেই রয়েছে। শুধু স্বাদ বাড়াতেই নয়, এই শুকনা ফল দেহের
জন্য উপকারী বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। যা কিনা হাড় ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে।
আর এই বিষয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালায় ‘পেনসিলভানিয়া
স্টেস্ট ইউনিভার্সিটি’র ‘ডিপার্টমেন্ট অফ নিউট্রিশনাল সায়েন্স অ্যান্ড কিনিসিয়োলজি’
ও ‘ইন্টেগ্রেটিভ অ্যান্ড বায়োমেডিকেল সাইকোলজি প্রোগ্রাম’।
‘আমেরিকান সাইকোলজিকাল সোসাইটি’র আয়োজনে
‘এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি ২০২২’ অনুষ্ঠানে এই গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনের সময় বলা হয়,
“পোস্টমেনোপজাল’ অংশগ্রহণকারীরা এই গবেষণায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিদিন ৬টি,
কয়েকজন ১২টি করে আলুবোখারা গ্রহণ করেছে। কেউ আবার একেবারেই খায়নি। এভাবে ১২ মাস তাদের
পর্যবেক্ষণ করা হয়।”
গবেষণার প্রধান ডা. জান্হাবি দামানি বলেন,
“আমাদের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, দৈনিক ৬টি থেকে ১২টি আলুবোখারা খেলে প্রাথমিক-প্রদাহ
কমাতে পারে যা কিনা রজোঃবন্ধ হওয়া নারীদের হাড় ক্ষয় রোধ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।”
এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে ইটদিস ডটকম’য়ে
প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ জার্সির নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কেলসি স্যাকম্যান বলেন, “ফল ও
সবজিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ‘বায়োঅ্যাক্টিভ’ যৌগ। যেমন- ফেনোলিক অ্যাসিড, ফ্লাভানয়েডস
এবং ক্যারোটিনয়েডস। এগুলো হাড়ক্ষয় রোধ করতে সহায়তা করে। আলুবোখারায় থাকা পলিফেনল প্রদাহ
ও ‘অক্সিডেটিভ স্টেস’ কমাতে পারে। আর দুটোই হাড়ক্ষয় রোধে সহায়ক।”
তিনি আরও বলেন, “আলুবোখারায় আরও রয়েছে
ভিটামিন কে, ফেনোলিক যৌগ ও ভোজ্য আঁশ। যা দেহের জন্য উপকারী।”
তবে তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, “সুপারফুড’
স্ট্যাটাস পেলেও মনে রাখতে হবে আলুবোখারায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় শর্করা। তাই খাওয়ার সময়
পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে।”
তাই দৈনিক খাদ্যতালিকায় আলুবোখারা যোগ
করতে চাইল স্যাকম্যানের পরামর্শ হল, “ছোটখাটো এই শুকনা ফল সহজেই বহনযোগ্য। তাই টুকটাক
অন্যান্য কিছু খাওয়ার চাইতে এক-দুটি আলুবোখারা দিনের বিভিন্ন সময় মুখে পুরে নিলেই ভালো।”
এছাড়া সালাদ কিংবা টক দইয়ের সঙ্গেও ছিটিয়ে
খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন