ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ১-০ গোলে হারায় ফিরতি লেগে দারুণ কিছু করতে হতো বায়ার্নকে। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে সেই লক্ষ্যে প্রথমে এগিয়েও যায় তারা। কিন্তু উজ্জীবিত স্প্যানিশ ক্লাবটি শেষ দিকে গোলটি শোধ করে দেয়, ম্যাচ শেষ হয় ১-১ ড্রয়ে।
তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিটকে যায় ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
জার্মান কাপ থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে বায়ার্ন, গত অক্টোবরে দ্বিতীয় রাউন্ডে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরে। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে মুলার-লেভানদোভস্কিদের সম্ভাব্য একমাত্র শিরোপা হতে পারে বুন্ডেসলিগা।
জার্মানির শীর্ষ লিগে ২৯ ম্যাচে ২২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ডর্টমুন্ড।
গত মৌসুমেও বায়ার্নের চিত্রটা ছিল ঠিক একইরকম। সেবারও তারা লিগ শিরোপা ঘরে তোলে; কিন্তু ব্যর্থ হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও জার্মান কাপে। সেবারও জার্মানির দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হেরে যায় এই কোয়ার্টার-ফাইনালেই।
এর মধ্য দিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়েছে দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরনের পর থেকে প্রতিযোগিতাটিতে তাদের চেয়ে বেশিবার আর কোনো দল শেষ আট থেকে বিদায় নেয়নি। বায়ার্ন এখন পর্যন্ত কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে ৮ বার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর আগে বায়ার্ন সবশেষ টানা দুই ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয়েছিল, ২০১৮-১৯ আসরের শেষ ষোলোয় লিভারপুলের বিপক্ষে।
বায়ার্নের কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ লড়াই থেকে আগেভাগে বিদায়ে প্রচণ্ড হতাশ নাগেলসমান। তার মতে, কমপক্ষে সেমি-ফাইনালে খেলা উচিত ছিল তাদের।
“(মৌসুমে বায়ার্নের অর্জন) এটা নির্ভর করবে বুন্ডেসলিগায় কী ঘটবে, তার ওপর।”
“আমরা যদি লিগ জিততে পারি, তাহলে আমাদের অর্জন গত বছরের সমান হবে, বায়ার্ন মিউনিখের জন্য যা যথেষ্ট নয়। (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) সেমি- ফাইনাল আমাদের ন্যূনতম লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি।”
বায়ার্নের দায়িত্ব নেওয়ার আগে হফেনহাইম ও লাইপজিগের কোচ থাকাকালীন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কয়েকটি পর্যায়ে তেতো স্বাদ পেয়েছেন নাগেলসমান। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে হার এই জার্মান কোচের কাছে তার ক্যারিয়ায়ের বাজে অভিজ্ঞতার একটি।
“সত্যি বলতে, এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে তিনটি হারের একটি। হফেনহাইম ও লিভারপুলের মধ্যকার লড়াইটি কঠিন ছিল। লাইপজিগের হয়ে পিএসজির বিপক্ষে হার মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। আর এবার (ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে) আমাদের অনেক সুযোগ ছিল, এটি অবশ্যই আমার তিনটি কঠিনতম অভিজ্ঞতার একটি।”