প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বুধবারই এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন তারা।
প্রেসিডেন্টের ড্রডাউন কর্তৃত্ব (পিডিএ) ব্যবহার করে এই সামরিক সরঞ্জামের তহবিল যোগানো হতে পারে। মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই জরুরি পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট এ কর্তৃত্ব ব্যবহার করতে পারেন।
মার্কিন কংগ্রেসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার ইউক্রেইনে যেসব সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া হবে তাতে হাউইটজারের মতো ভারী কামানও থাকতে পারে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর থেকে তারা ইউক্রেইনকে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ওই কর্মকর্তা জানান, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেইনকে পরবর্তী সহায়তা দেওয়ার ওই ঘোষণাটি আসতে পারে, কিছু মার্কিন আইনপ্রণেতাকে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অস্ত্রের চালানের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষামূলক বিমানবিধ্বংসী স্টিঙ্গার এবং ট্যাঙ্কবিধ্বংসী জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র, পাশাপাশি গোলাবারুদ ও বডি আর্মারও থাকছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী কী সরঞ্জাম থাকবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন আরেক কর্মকর্তা।
রাশিয়া ইউক্রেইনের দনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযান জোরদার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে রাশিয়ার বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়তে আরও ভারী অস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম দেওয়ার জন্য মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতাদের চাপ দিচ্ছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ যদি বছরের পর বছর ধরে গড়ায় তাহলে মার্কিন কোম্পানিগুলো ইউক্রেইনের অস্ত্র চাহিদা মেটাতে পারবে কি না, তা নিয়ে আলোচনার জন্য পেন্টাগন শীর্ষ আট মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানির নেতাদের সঙ্গে বুধবার বসছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।