ইউক্রেইনের জিপিএস আটকানোর বিষয়টি জানিয়েছে
‘ইউএস স্পেস ফোর্স’।
“ইউক্রেইন হয়ত জিপিএস ব্যবহার করতে পারবে
না। তাদের আশপাশে কিছু জ্যামার রয়েছে, যেটি ব্যবহারযোগ্য যে কোনো সিগনাল গ্রহনে বাধা
দিচ্ছে।” –সোমবার এনবিসি নাইটলি নিউজকে বলেছেন স্পেস ফোর্সের মহাকাশ কার্যক্রম বিষয়ক
উপ প্রধান জেনারেল ডেভিড থমসন।
“অবশ্যই, রাশিয়ানরা জিপিএস-এর মূল্য
ও গুরুত্ব বোঝে এবং সেজন্য অন্যদের এটি ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে।”
রাশিয়ার কোনো স্যাটেলাইটে সরাসরি এখনও
আক্রমণ না করলেও, এমন সম্ভাবনার ক্ষেত্রে, স্পেস ফোর্সের নজরদারির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন
তিনি।
বিশেষ করে, ‘নাভস্টার’ সিস্টেমের স্যাটেলাইটগুলোকে লক্ষ্য করছে রাশিয়া। এসব
স্যাটেলাইট যুক্তরাষ্ট্র এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশ প্রকাশ্যেই ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন
থমসন।
নাভস্টারের ২৪টি মূল স্যাটেলাইট প্রতি ১২ ঘন্টায় একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
পৃথিবীর ব্যবহারকারীদের সমন্বিত সিগনাল পাঠানোর মাধ্যমে কাজ করে সিস্টেমটি। কারণ, স্যাটেলাইটগুলোর
গতিপথ ভিন্ন হওয়ায় ব্যবহারকারী খানিকটা আগেপরে সে সিগনালগুলো পান। –প্রতিবেদনে লিখেছে
স্পেসডটকম।
উদাহরণ হিসেবে, যখন চারটি স্যাটেলাইটের সিগনাল পাওয়া যায়, তখন জিপিএস গ্রহনকারী
সিগনাল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। এই অবস্থান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
মাত্র কয়েক ফুটের মধ্যে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
‘গ্লোনাস (GLONASS)’ নামে পরিচিত একটি নিজস্ব স্বাধীন স্যাটেলাইট সিস্টেম রয়েছে
রাশিয়ার। এ ছাড়া ইউরোপীয়দের ‘গ্যালিলেও (Galileo)’ এবং চীনের ‘বাইদু (Beidou)’ নামে
পরিচিত নিজস্ব স্যাটেলাইট সিস্টেম রয়েছে।
ইউক্রেইনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়ার আক্রমণের কারণে এখনও ইন্টারনেট
সংযোগের অভাবে ভুগছে দেশটি।
একটি স্বাধীন অবকাঠামো প্রদানের
লক্ষ্যে, ইউক্রেইনের
অনুরোধে হাজার হাজার স্টারলিংক টার্মিনাল পাঠিয়েছিল স্পেসএক্স।
স্টারলিংকের সিগনাল জ্যাম হওয়ার বিষয়টি
স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক জানিয়েছেন মার্চের শুরুতে। অবশ্য পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে
নিচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান।
“বিরোধপূর্ণ এলাকার কাছাকাছি কিছু স্টারলিংক
টার্মিনালকে একই সময়ে কয়েক ঘন্টার জন্য জ্যাম রাখা হয়েছিল,” — মাস্ক টুইট করেন ১ মার্চে।
“আমাদের সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট জ্যামিং
উপেক্ষা করে।”