মঙ্গলবার ইফতারের পর
শহরের একটি হোটেলে আয়োজত সভায় মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ
মালিক সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি অতুল কুমার পাল জানান, বুধবার থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার
সর্বত্র হোটেল-রেস্তোরাঁ, বেকারি, চাইনিজ ও ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য
বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের
ঠাকুরগাঁও শহরে ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’ পরিচালনা করেন মুখ্য বিচারিক হাকিম নিত্যানন্দ
সরকার।
নিরাপদ খাদ্য আইনে
শহরের চৌরাস্তার গাওসিয়া হোটেল ও রোজ হোটেলে তিন লাখ করে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানা অনাদায়ে ওই দুই হোটেলের ম্যানেজার রুবেল হোসেন ও পলাশ চন্দ্র রায়কে এক বছর
বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়,
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গাওসিয়া ও রোজ হোটেলের অর্ধশত হোটেল শ্রমিক ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের
কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন ও চৌরাস্তা ট্রাফিক মোড়ে ইফতারির খাবার ফেলে প্রতিবাদ
করেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা হোটেল
ও বেকারি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের
শ্রমিকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হোটেলে কাজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত
দুই শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।”
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ
মালিক সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি অতুল কুমার পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
তুচ্ছ ভুলের কারণে নিরাপদ খাদ্য আইনে গাওসিয়া ও রোজ হোটেল কর্তৃপক্ষকে তিন লাখ করে
ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে দুই হোটেলের ম্যানেজারকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
“এ কারণে কর্মবিরতিতে
রয়েছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সাথে আমরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছি। বিষয়টি সুরহা না হওয়া
পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।”
অভিযান পরিচালনার সময়
মুখ্য বিচারিক হাকিম নিত্যানন্দ সরকার বলেন, এখন থেকে নিয়মিতভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে ‘বিশুদ্ধ
খাদ্য আদালত’ পরিচালনা
করা হবে।