অধিদপ্তরে রোগ নিয়ন্ত্রণ
শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, গর্ভবতী নারীরা ছাড়া এক বছরের বেশি
সব বয়সের মানুষ পরপর দুই মাস দুই ডোজের এই টিকা পাবেন।
ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব এবং
মুখে খাওয়ার কলেরা ভ্যাক্সিন ক্যাম্পেইন নিয়ে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি
বলেন, “এই টিকা দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটি ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাবে।”
এই কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকার
যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ এলাকায় কলেরার টিকা খাওয়ানো
হবে।
এসব এলাকার বাসিন্দাদের টিকা
পেতে কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না এবং টিকা নেওয়ার সময়সূচিও পরে অধিদপ্তর জানিয়ে
দেবে।
পরিচালক বলেন, মে মাসে দেওয়া
হবে প্রথম ডোজ, জুন মাসে দ্বিতীয় ডোজ। এক বছরের বেশি সব বয়সের সবাই কলেরার টিকা পাবেন।
শুধু গর্ভবতী নারীরা পাবেন না।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে
ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। এ সময় রেকর্ডসংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকার
আইসিডিডিআর,বির কলেরা হাসপাতালে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩শ রোগী ভর্তি হচ্ছে। এক মাস
পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।
কেবল আইসিডিডিআর,বিতেই মঙ্গলবার
পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এখন পর্যন্ত চার জনের
মৃত্যুর খবর আছে।
মৃত্যুর তথ্যের এ গরমিল নিয়ে
প্রশ্ন করলে নাজমুল ইসলাম বলেন, “আইসিডিডিআর,বি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। তারা
আমাদের কাছে এখনও তাদের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেনি। করলে আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ
করে দেখব।”
ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে আইসিডিডিআর,বির পরামর্শ
ডায়রিয়ার প্রকোপ: বাইরের খাবার ও পানি পানেই আক্রান্ত বেশি
সংবাদ সম্মেলনে
তিনি জানান, মার্চ মাসে দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ
৭০ হাজার ২৩৭ জন। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই ৩৬ হাজার ৯১২ জন হাসপাতালে গেছেন।
বিভাগ ভিত্তিক
হিসেবে ঢাকা বিভাগে ৬৬ হাজার ৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ হাজার ৪১৬ জন, খুলনা বিভাগে
৩৬ হাজার ২০৯ জন, বরিশালে ৫ হাজার ৪১৫ জন, সিলেটে ১১ হাজার ১৯৩ জন, রাজশাহীতে ১২ হাজার
৪৮৪ জন, রংপুরে ১০ হাজার ৫৬৫ জন, ময়মনসিংহে ৯ হাজার ৯০৯ জন ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে
গেছেন এ সময়।
অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক
ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন, আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক
ডা. তাহমিনা শিরিন উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।