মঙ্গলবার
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু,
মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও ভারতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী
লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, “যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের
অভ্যূদয়ের সাথে ভারতের অবদানের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।”
একাত্তরে
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের সরাসরি অংশগ্রহণের কথা
কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
সেই সঙ্গে
বলেন, “শুধু তাই নয়, যখন পাকিস্তানের কারাগারে থাকা বঙ্গবন্ধুর ফাঁসির রায় ঘোষণা
হয়, তখন ভারত সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে
মুক্ত করার জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত সংগঠিত করার জন্য পৃথিবীর
এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন, সেজন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতাভরে
শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অবদানকে স্মরণ করি।”
শেখ হাসিনা
এবং নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এখন একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত
হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন,
“আমাদের দুর্যোগ, দুর্বিপাকে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরাও সামর্থ্য অনুযায়ী
ভারতের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এভাবেই বন্ধুত্ব সুদৃঢ় হয়।”
আওয়ামী
লীগের এই নেতা বলেন, “আমাদের দেশে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভারতের এই অবদানকে
অস্বীকার করার চেষ্টা করে, ভারতবিরোধী বক্তৃতা দেয়। তাদের রাজনীতির অন্যতম মূল
প্রতিপাদ্য হচ্ছে ভারতবিরোধিতা এবং নির্বাচন এলে তাদের ভারতবিরোধী বক্তৃতা বেড়ে
যায়।
“তারা যখন
ক্ষমতায় ছিল আমরা দেখেছি, একদিকে দেশে বসে ভারতবিরোধিতা করে, আবার ভারতে গিয়ে
একেবারে নতজানু নীতি অবলম্বন করে। বিএনপিসহ যেসমস্ত রাজনৈতিক দল ভারতবিরোধী
রাজনীতি বক্তব্য দিয়ে প্রেসক্লাব-নয়াপল্টন-টেলিভিশনের পর্দা গরম করে, তারা আবার
ভারতীয় হাইকমিশনে ইফতার করতে যায়। আশা করবো তাদের এই অপরাজনীতি বন্ধ হবে।”
সম্প্রীতি
পরিষদের সভাপতি মো. ফজলে আলীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মমতাজ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায়
আলোচনায় সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষালও বক্তব্য রাখেন।