বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রস্তাবিত আইনটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় সংশ্লিষ্ট আইনের ওপর নাগরিক ও অংশীজন থেকে প্রাপ্ত মতামতের ওপর আলোচনা হয়। আলোচনার মাধ্যমে পাওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে প্রাথমিক খসড়ার প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে প্রথমে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে ভাষা প্রমিতীকরণের জন্য।
পরে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর মধ্যে দিয়ে আইন প্রণয়নের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ১৯ জানুয়ারি প্রাথমিক খসড়া (বিল) ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সবার মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল।
সভায় জানানো হয়, দেশের নাগরিক ও অংশীজনের কাছ থেকে আড়াইশর বেশি ‘সুস্পষ্ট শ্রেণিগত’ মতামত মিলেছে। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া সংক্ষিপ্ত মতামতের সংখ্যা হাজারের বেশি।
এসব মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়, তার মধ্যে আছে- ব্যক্তি জমি, খাসজমি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি দখল সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও এর প্রতিকার, প্রতিরোধ, শাস্তির বিভিন্ন দিক এবং ভূমির অবৈধ ও যথেচ্ছ ব্যবহারে আর্থসামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব।
সভায় ভূসম্পদ সম্পর্কিত ২২ ধরনের/শ্রেণির চিহ্নিত অপরাধের ধরন/শ্রেণি কমিয়ে আনারও সুপারিশ করা হয়। এছাড়া কোনো কোনো অপরাধে জেল-জরিমানা দুটো বিধানই রাখার সুপারিশ করা হয়।
সভায় বেশ কয়েকজন আলোচক প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে আইনের খসড়া তৈরি থেকে বের হয়ে এসে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যুগোপযোগী কাঠামো ব্যবহার করে আইনের খসড়া প্রস্তুতের ওপর জোর দেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “নাগরিকের কল্যাণের জন্যই আইন তৈরি করা হয়। ভূ-সম্পদের রক্ষা করার প্রথম দায়িত্ব আমাদের নিজেদের। এজন্য সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কেও আমাদের সবার স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিৎ।”
অন্যদের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান অমিতাভ সরকার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।