বুধবার
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে নতুন উপ-কমিটি
গঠন করা হয়।
আগের
উপ-কমিটির মতোই নতুন কমিটিরও আহ্বায়ক হয়েছেন মো. শাজাহান খান। বাকি দুই সদস্য হলেন-
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও আওয়ামী লীগের এ বি তাজুল ইসলাম।
রাজাকারদের
তালিকা তৈরির লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৯ অগাস্ট প্রথম ছয় সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করা
হয়েছিল।
রাজাকারের তালিকা করবে সংসদীয় কমিটি
কমিটির
অন্য সদস্যরা ছিলেন- সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, রাজিউদ্দিন
আহমেদ রাজু, এবি তাজুল ইসলাম, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।
কমিটির
সভাপতি শাজাহান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আগের কমিটির আকার বড় ছিল, যার কারণে বৈঠকে কোরাম পূর্ণ হত না।
এজন্য আমরা ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে তিন সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করেছি।”
তিনি
বলেন, “উপ-কমিটি গঠনের পর রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা
চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলা থেকে যে তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে
তার বেশিরভাগই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।
“অনেক জেলায় রাজাকার নেই এমন তথ্য জানানো হয়। এটি
কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
তৃণমুল
পর্যায় থেকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি উপ-কমিটির প্রধান
শাজাহান খান তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমেও তালিকা
সংগ্রহ করছেন।
ওই
সংগঠনের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডারদের চিঠি দিয়ে তাদের অধিক্ষেত্রের রাজাকারদের
তালিকা সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে গঠিত সংগঠন সম্মিলিত
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক শাজাহান খান।
ইতোমধ্যে
সংগঠনটির মাধ্যমে ১৩০টি উপজেলা থেকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও বুধবারের
বৈঠক শেষে শাজাহান খান জানান।
“ওই তালিকা আমরা অধিকতর যাচাই করার জন্য আবার তাদের
কাছে পাঠিয়েছি। তালিকা এলে সেটা যাচাই-বাছাই করে সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে
পাঠানো হবে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে পর্যায়ক্রমে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবে।”
বঙ্গবন্ধুর
স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করা চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্মৃতিস্তম্ভ
তৈরির লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে চারটি
চিঠি দেওয়ার পরও সাড়া না পাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির
সভাপতি বলেন, “তারা কেন চিঠির জবাব দেননি তার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি
দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।”
সংসদ
সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন
এবং অগ্রগতির সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল
হক, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এ বি তাজুল ইসলাম এবং কাজী ফিরোজ
রশীদ অংশ নেন।