মঙ্গলবার দুপুরে
ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন আসামি আব্দুল্লাহর
সাজা মওকুফ করে দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল হামিদ জানান।
আব্দুল্লাহ (৫২)
রাণীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর গ্রামের প্রয়াত মনতাজ আলীর ছেলে।
আইনজীবী বলেন, ২০১৫
সালে ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি
আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আক্তারুল ইসলাম।
৬ এপ্রিল বিচারক
আব্দুল্লাহকে এক বছরের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী
জাকির হোসেন মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। আব্দুল্লাহও
সৎভাবে জীবনযাপনের পাশাপাশি মাদক সংশ্লিষ্ট কাজ থেকে দূরে থাকার অঙ্গীকার করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
বিচারক সাজা মওকুফের শর্ত হিসেবে আসামিকে টানা ১০ কর্মদিবস আদালত চত্বরে গলায় প্ল্যাকার্ড
ঝুলিয়ে মাদকবিরোধী প্রচার চালাতে বলেন। আব্দুল্লাহ গত রোব ও সোমবার প্ল্যাকার্ড গলায়
ঝুলিয়ে এক ঘণ্টা আদালত চত্বরে দাঁড়ান। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘মাদক ব্যবসার জন্য
আমি দুঃখিত, লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী’, ‘মাদক দেশ ও দশের শত্রু, মাদক পরিহার
করুন’।
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি
মঙ্গলবারও আব্দুল্লাহ
একইভাবে আদালত চত্বরে দাঁড়ান। তখন বিচারক তাকে ডেকে নেন এবং তার সাজা মওকুফের বিষয়টি
অবগত করেন।
এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিচারক আমার সাজা ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তিনি আমাকে
ভালোভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি এখন থেকে সৎভাবে চলব এবং কখনও খারাপ কাজে নিজেকে
জড়াব না।”
ঠাকুরগাঁও জেলা
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ অনুযায়ী, দুই বছরের কম সাজার অপরাধের আসামিকে
বিচারক সতর্ক করে ছেড়ে দিতে পারেন। জামিনদার রেখে বা না রেখে ছেড়ে দিতে পারেন। আবার
সংশোধনের জন্য সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাজার আদেশও দিতে পারেন।”