কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম বুধবার
বেলা ১২টায় এ রায় ঘোষণা করেন।
তাছাড়া সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা
করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়ারও আদেশ দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জেলার দৌলতপুর উপজেলার
ভুরকাপাড়ার আব্দুল মান্নান (৬১), মেয়ে শিখা খাতুন (২৮), দুই ভাই সাধু সরকার (৪৮), বজলু
সরকার (৫৮) ও জেলার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ গ্রামের রাজন বিশ্বাসের মেয়ে আজমিরা
খাতুন (২৬)।
তাদের মধ্যে শিখা খাতুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড
আর অন্য তিনজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।
আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
এছাড়া তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত
না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছে আদালত।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী মামলার নথির
বরাতে বলেন, ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ খন্দকারপাড়ার মীর শহিদুল
ইসলামের ছেলে রায়হান (২৬) ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন উপজেলার পালপাড়ায় পানের
বরজের পাশে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ মেলে।
এ ঘটনায় তার বাবা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে
অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন ভেড়ামারা থানায়। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর
আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক আননুর যায়েদ।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, অভিযোগ
প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিয়েছে।