ইউক্রেইনের
সিক্রেট সার্ভিস এসবিইউ মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারাই মেদভেদচুককে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাতকড়া পরা, দেখতে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত মেদভেদচুকের
একটি ছবি প্রকাশ করেন। সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে লেখা ছিল, “এসবিইউ একটি বিশেষ অভিযান চালিয়েছে।
সাবাশ!”
এসবিইউ ইউক্রেইনের
প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির ইউক্রেইনীয়
শাখাকে পাল্টে এসবিইউ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পুতিন মেদভেদচুকের
কন্যার ‘গডফাদার’ বলে মন্তব্য করেছে জেলেনস্কি। তবে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো মেদভেদচুককে
ইউক্রেইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘বিরোধীদলীয় নেতা’ বলে অভিহিত করেছে।
ফেব্রুয়ারিতে
কিইভ জানিয়েছিল, বিরোধীদল ‘ফর লাইফ’ পার্টির নেতা মেদভেদচুক গৃহবন্দি অবস্থা থেকে পালিয়ে
গেছেন। গত বছর ইউক্রেইনের কর্তৃপক্ষ বিরোধীদলীয় এ নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার
অভিযোগ এনেছিল। তবে মেদভেদচুক কোনো অন্যায়
করার কথা অস্বীকার করেছেন।
এক অনলাইন
পোস্টে এসবিইউ বলেছে, “আপনি রাশিয়াপন্থি রাজনীতিক হতে পারেন এবং অনেক বছর ধরে আগ্রাসী
রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করতে পারেন। আপনি ন্যায়বিচার থেকেও পালিয়ে বেড়াতে পারেন। আত্মগোপনের
জন্য আপনি ইউক্রেইনীয় সামরিক উর্দিও পরতে পারেন; কিন্তু এসব কি শাস্তি এড়াতে আপনাকে
সাহায্য করবে? মোটেই না!! আপনার জন্য শিকল অপেক্ষা করছে এবং আপনার মতো ইউক্রেইনের প্রতি
বিশ্বঘাতকতা করা সবার পরিণতিই একই হবে।”

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাতকড়া পরা, দেখতে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত মেদভেদচুকের একটি ছবি প্রকাশ করেন। ছবি: টেলিগ্রাম/জেলেনস্কি
বার্তা সংস্থা
রয়টার্স জানিয়েছে, ওই পোস্টে সিক্রেট সার্ভিসের (এসবিইউ) প্রধান ইভান বাকানভের উদ্ধৃতিও
দেওয়া হয়েছে।
তাতে তিনি
বলেছেন, মেদভেদচুককে গ্রেপ্তার করতে তার গোয়েন্দারা একটি ‘বিদ্যুৎ গতির ও বহু স্তরের
বিপজ্জনক অভিযান’ চালায়; কিন্তু এতে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
গত মাসে জেলেনস্কি
ইউক্রেইনের বৃহত্তম বিরোধীদল ‘ফর লাইফ’ সহ রাশিয়ার মিত্র বেশ কিছু ছোট ছোট দলের রাজনৈতিক
কার্যক্রম চালানোর অনুমোদন স্থগিত করেন।
রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে
মেদভেদচুকের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।