বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বললেন, “সংসার চালাতে গিয়েই তো হিমশিম খাচ্ছি। রোজায় এমনিতেই বাড়তি খরচ হচ্ছে, কয়েকদিন পর ঈদ, বৈশাখ করার মত টাকা তো থাকতে হবে।… অনেক কিছুই করতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সামর্থ্য কই?”
দেশের পোশাকের বাজারে উৎসবের বড় দুই উপলক্ষ বৈশাখ আর রোজার ঈদ। এবার সেই দুই উপলক্ষ এসেছে মোটে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে।
করোনাভাইরাসের মহামারী বাঙালির উৎসবের ক্যালান্ডারে চারটি ঈদ আর দুটি বৈশাখের রঙ মুছে দিয়েছিল প্রায়। পোশাক ব্যবসায়ীদের জন্য ২০২০ আর ২০২১ ছিল মন্দার বছর।
সংক্রমণ কমে আশায় এবার বৈশাখ আর ঈদ আসছে পুরো মেজাজে উৎসবের সম্ভাবনা নিয়ে, কিন্তু দুই উৎসবের ব্যবধান অনেক ক্রেতাকে সাধ আর সাধ্যের হিসাব কষতে বাধ্য করছে, তেমনি ব্যবসায়ীদের বাধ্য করছে প্রত্যাশা সীমিত রাখতে।

বিক্রেতারা বলছেন, দুটো উৎসব কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় এবার বিক্রি কমেছে অনেকটা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে আর্থিক সংকটে থাকা ক্রেতারা কিনতে আসছেন কম। অনেকেই দুটো উৎসবের মধ্যে ঈদকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কেনাকাটার জন্য।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পোশাক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, মহামারীর আগে ২০১৯ সালের রোজার ঈদে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। সেবার পহেলা বৈশাখে ঘিরে বিক্রি হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকার মত পোশাক।
এবার রোজার কারণে পহেলা বৈশাখের কাপড় খুব একটা ব্যবসা করতে না পারলেও দুই উৎসব মিলিয়ে মোটামুটি ২০ হাজার কোটি টাকার বিক্রি থাকবে বলে করছেন সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মালিক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। গত এক সপ্তাহে মার্কেটের অবস্থা ভালো না। মানুষের হাতে টাকা নাই। জিনিসপত্রের দামও বেশি। মানুষ খাবে নাকি পোশাক পরবে?
এবার ঈদের সাথে মিলে যাওয়ায় বৈশাখের ব্যবসা কম হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব। সবাই ঈদে কিছু না কিছু কেনে। আশা করতেছি, সব মিলে ২০ হাজার কোটি টাকার মত ব্যবসা হবে এবার।”
ঈদে নতুন জামা কেনার রেওয়াজ বরাবরই ছিল। তবে বৈশাখ ঘিরে নতুন পোশাক কেনার চল মোটামুটি দুই দশকের। তবে ফ্যাশন হাউজগুলোর চেষ্টায় নিম্ন মধ্যবিত্তের কাতারেও তা পৌঁছে গিয়েছিল।
ফ্যাশন এন্টারপ্রেনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহীন আহমেদ জানান, মহামারীর আগে পহেলা বৈশাখে সারা বছরের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পোশাক বিক্রি হত তাদের।
“তখনকার সময়ের সাথে এখনকার তুলনা করাটা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা আগে যা বিক্রি করতাম, এবার বৈশাখে রোজা থাকায় তার চেয়ে টার্গেটটাই অনেক কম করেছি। কিন্তু যেটুকু টার্গেট করেছি, সেটুকু বিক্রি হচ্ছে। কাস্টমারও কিছু আসছে।”
শাহীন বলেন, “গতবছর বৈশাখে কিছু বিক্রি হয়েছে, কিন্তু ২০২০ সালে একেবারেই হয়নি। আমাদের দুইটা ভয় ছিল- করোনা আবার বেড়ে যায় কিনা, বিক্রি হয় কিনা। আবার ঈদের কারণে বিক্রিটা হয় কিনা। ঈদ এবং বৈশাখ মিলিয়ে মার্কেটে বিক্রি খারাপ হচ্ছে না।”

বাজারের চালচিত্র
বৈশাখে সাধারণত দেশীয় সুতি পোশাকের চাহিদা বেশি থাকে। তাতে লাল-সাদাসহ উজ্জ্বল, বৈচিত্র্যময় রঙের মিশেল থাকে।
আর ঈদে দেশীয় সুতি কাপড়ের পাশাপাশি হাফ সিল্ক, জর্জেট, টিস্যু, মসলিন, শাটিন, লিনেন কাপড়ের পোশাকের বিক্রি হয় ভালো। তাছাড়া সব ধরনের, সব রঙের পোশাকই ঈদে পরতে দেখা যায়।
রাজধানীর বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেল, বৈশাখের তুলনায় ঈদের পোশাকই বিক্রি হচ্ছে বেশি। আবার দুটো উৎসব মিলিয়ে পোশাক কিনছেন অনেকে।
রাজধানীর অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের দেশীয় পোশাকের ফ্যাশন হাউজগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা বেশি দেখা গেল।
তবে রোজার কারণে এ বছর ফ্যাশন হাউজগুলোও পহেলা বৈশাখের জন্য সীমিত সংখ্যক পোশাক তৈরি করেছে। মালিকরা বলছেন, বৈশাখের বাজার ধরার যখন প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, তখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী ছিল। তাই তারা ঝুঁকি নিতে চাননি।
তাছাড়া রোজার কারণে বৈশাখের উৎসব এবার সীমিত হয়ে যাবে, সে চিন্তা থেকেও অনেক পোশাক প্রস্তুতকারক বৈশাখের আলাদা আয়োজন রাখেননি। যারা বৈশাখের পোশাক তৈরি করেছেন, তারা মাথায় রেখেছেন ঈদের বাজারেও যেন তা চালানো যায়।
ফ্যাশন হাউজগুলো বৈশাখে নতুন ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইনে ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, মেয়েদের জন্য কুর্তি, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, কাপ্তান রেখেছে। লাল-সাদার বাইরেও সবুজ, হলুদ, কমলা রঙের আধিক্য রয়েছৈ বৈশাখী পোশাকে।
এছাড়া বৈশাখী উৎসবকে আরও রঙিন করতে গয়না, মাস্ক ও শো-পিসের সংগ্রহও রেখেছে তারা।
ফ্যাশন হাউজ রঙ বাংলাদেশ এবার ট্রাক আর্ট থিমে তাদের পোশাক ডিজাইন করেছে। লাল, নীল, সাদা, ঘিয়ে ও সবুজ রঙের সুতি, লিলেন ও হাফ সিল্কের কাপড়ের ওপর ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট ও হাতের কাজের প্রাধান্য বেশি।

রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাসও বললেন, রোজার ঈদের বলয়ের মধ্যে থাকায় এবার বৈশাখের আয়োজনটা তুলনামূলক কম।
“অনেকের ভাবনায় থাকবে যে, একই পোশাক বৈশাখ ও ঈদের জন্য কিনে ফেলব। আবার বৈশাখে শুধু এক দিনের জন্য একটা পোশাক কিনবে কিনা সেটা নিয়েও ভাবছে অনেকে। সেজন্য আমরা টোটাল প্রোডাক্ট লাইন এমনভাবে সাজিয়েছি যেন তা বৈশাখ ও ঈদ দুটোকেই কাভার করতে পারে।”
মহামারীর দুই বছরে ‘তেমন ব্যবসা হয়নি’ জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন মানুষের মধ্যে স্বস্তি রয়েছে, করোনাভাইরাসও কমে গেছে। আশা করব, দেশীয় ফ্যাশন মুখ থুবড়ে পড়া অবস্থা থেকে পায়ের নিচে মাটি পাবে দাঁড়ানোর জন্য। তবে আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে।”
এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে সৌমিক বলেন, “এবার বৈশাখে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু রোজা থাকায়, করোনা পরবর্তী সময়ে স্বল্প বাজেটের কারণে বৈশাখে অনেক বিক্রিটা হচ্ছে না। তবে মানুষ এখন যে কেনাকাটা করছে, সেটাও আমাদের জন্য সস্বস্তিদায়ক।”
বাংলার মেলার কর্ণধার গোলাম মওলা জানালেন, তাদের অন্যান্য আউটলেটের তুলনায় বসুন্ধরার দোকানে বিক্রি ভালো হচ্ছে।
“বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্টের দোকান একসাথে থাকায় এখানে ক্রেতা আসে বেশি। শুক্র-শনিবারও ভালো বিক্রি হয়েছে। বৈশাখের বিক্রিও কিছু হচ্ছে।”
তবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনের দাপটের কারণে তিনিও বৈশাখের পোশাক তৈরি কমিয়ে দেওয়ার কথা জানালেন।
“আমরা বৈশাখের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি, কিন্তু ওমিক্রনের কারণে যেন লোকসান না হয়, সেদিকে কিছুটা সতর্ক ছিলাম। ওমিক্রনের কারণে আবার সবকিছু বন্ধ করে দেয় কিনা- এ বিষয়গুলো মাথায় ছিল।
পরে সংক্রমণ কমে গেলেও সময়ের অভাবে পহেলা বৈশাখের জন্য উৎপাদন বাড়ানো কঠিন ছিল। সে কারণে ঈদকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানালেন গোলাম মওলা।

এখনকার বিক্রি মহামারীর ধাক্কা কাটাতে সাহস দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “গত দুই বছরের তুলনায় মানুষের চাহিদা এবার বেশি। আশা করছি, ঈদ ও বৈশাখ মিলিয়ে গত দুই বছরের আগের অবস্থায় এবার যেতে পারব।”
বসুন্ধরার আড়ংয়ে ভিড় সব সময়ই বেশি থাকে। এবার সেখানে শিশুদের বৈশাখের পোশাক বিক্রি হতে দেখা গেল বেশ।
একজন বিক্রয়কর্মী বললেন, “ঈদের বিক্রিটা বেশি হচ্ছে। অনেকে বৈশাখের পোশাকও খুঁজছেন। বাচ্চাদের বৈশাখের ড্রেস আর পাঞ্জাবিটা যাচ্ছে বেশি।”
মহামারীর আগের সময়গুলোতে ঢাকার আজিজ সুপার মার্কেটে নববর্ষের পোশাক বিক্রির ধুম পড়ে যেত, এবার সেখানে ক্রেতার উপস্থিতি খুবই কম। এখানকার ফ্যাশন হাউজগুলোতে বৈশাখের পোশাকের সমাহারও অন্য বছরের চেয়ে কম।
এ মার্কেটে কে-ক্র্যাফটের শোরুমে বৈশাখের নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শাড়ি ও সালোয়ার কামিজ দেখা গেল। ম্যানেজার শেখ লুৎফর রহমান লোটাস বললেন, রোজার মধ্যে নববর্ষ পড়ায় বৈশাখের পণ্য ৭৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন তারা।
“এখন ক্রেতা খুব কম। মুসলিম অনেক কাস্টমার হয়ত রোজার কারণে নববর্ষ সেভাবে উৎযাপন করবে না, কেনাকাটাটাও করবে না। তাই আমরা প্রোডাকশন কিছুটা কম করেছি। বৈশাখের চেয়ে ঈদের পোশাকের বিক্রি বেশি হচ্ছে।“

ড্যাফেডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহনাফ ইসলাম আজিজ সুপার মার্কেট থেকে পাঞ্জাবি কিনেছেন।
তিনি বললেন, “বৈশাখ পালন ছাড়া পুরো বছরটাই কেমন যেন লাগে। বৈশাখে নতুন পাঞ্জাবি কিনেছি। ঈদেও ওটা দিয়েই চালিয়ে দেব। ঈদের জন্য আলাদা করে শার্ট, প্যান্ট বা টি-শার্ট কিনব।”
মিরপুর ২ নম্বরের শতাধিক ফ্যাশন হাউজে অন্যসময় বৈশাখী আয়োজনের কমতি না থাকলেও এবার অধিকাংশ দোকানে বৈশাখের নতুন পোশাক কম।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড আঙিনার ম্যানেজার সোহানুর রহমান সজীব জানালেন, রোজার কারণে এবার বৈশাখের কোনো পোশাকের আয়োজন তারা রাখেননি।
তার ধারণা, আগামী দুই-তিনবছর এমনই হবে, কারণ রোজার মধ্যে বৈশাখ থাকবে।
আঙিনার আশেপাশের অধিকাংশ দোকানে একই চিত্র থাকলেও ফ্যাশন হাউজ নবরূপায় বৈশাখের কিছু পোশাকের দেখা মিললো। নারীদের লাল-সাদা বৈশাখী শাড়ি, ছেলেদের পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের সালোয়ার কামিজ রয়েছে এই শো-রুমে।
তবে বিক্রয়কর্মী মুন্নী জানালেন, বৈশাখী পোশাকের চাহিদা এবার কম।
“আমরা বৈশাখের কিছু কালেকশন রেখেছি যেন ক্রেতারা চাইলে দিতে পারি। বেশিরভাগ পোশাকই ঈদের জন্য। ১৭, ১৮, ১৯ সালে আমরা পহেলা বৈশাখের জন্য বিপুল পরিমাণ পোশাক রাখতাম। কারণ ঈদ আর নববর্ষ আলাদা সময়ে হত। এবার রোজায় পহেলা বৈশাখ হওয়ায় কালেকশন কম।”
নবরূপায় দুই বছরের মেয়ের জন্য পোশাক কিনছিলেন মার্জিয়া আক্তার। জানতে চাইলে মিরপুরের এই বাসিন্দা বললেন, পহেলা বৈশাখের জন্য না, ঈদের জন্যই কেনাকাটা করছেন।
মিরপুর-২ নম্বরের ফ্যাশন হাউজ বিশ্বরঙে পহেলা বৈশাখের পোশাক ছিল বেশি। ছোটদের পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, বড়দের পাঞ্জাবি, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তিতে লাল-সাদার ছোঁয়া ছিল চোখে পড়ার মত।

বিশ্বরঙের ম্যানেজার রাতুল হাসান বললেন, “রোজার কারণে এবার বৈশাখের তেমন উদ্দীপনা নেই। তবে একেবারেই যে নেই, তাও নয়। কিছু মানুষ নিচ্ছে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা বেশি পোশাক কিনছে।”
বিক্রেতারা বাজার বুঝে এবার ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “সবাই আসলে বৈশাখ নিয়ে রিস্ক নিতে চায়নি। বৈশাখে আমাদের সবচেয়ে বেশি বিক্রি থাকে। আমরা এবার এমন ধরনের রঙ ও ডিজাইন ব্যবহার করেছি, যেন ক্রেতারা সেটা বৈশাখেও পরতে পারে, আবার ঈদেও পরতে পারে।”
বিশ্বরঙে পাঞ্জাবি দেখছিলেন বেসরকারি চাকুরে জয়নাল আবেদীন। নিজের জন্য না কিনলেও সন্তানদের জন্য বৈশাখী পোশাক কিনলেন।
“এবার রোজার মধ্যে পহেলা বৈশাখ হওয়ায় নিজের জন্য কিনিনি। বাচ্চাটা ছোট, ওর জন্য বৈশাখের কাপড় কিনেছি। আর আমি বৈশাখ আর ঈদ দুটাই চালানো যায়, এমন ড্রেস দেখছি।”
একই ধরনের কথা বললেন, ঢাকার একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. খালেদ। অন্যবছর আগ্রহ নিয়ে তিনি পহেলা বৈশাখের পোশাক কেনেন। এবার তা হবে না।
“করোনার কারণে আমার বেতন ৪০ শতাংশ কমে গেছে। গত দুই বছর ঈদে বোনাস পেয়েছি নামেমাত্র। এবার বোনাস পাব কিনা জানি না। তার ওপরে সবকিছুর দাম বেশি। এমনিতেই ইফতার, সেহরির জন্য অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে। সংসারের খরচই তো অনেক বেশি। বৈশাখে আর আলাদা পোশাক বা আয়োজন করে খরচ বাড়াতে চাচ্ছি না, তাতে ঈদের কেনাকাটায় ঝামেলায় পড়ে যাব।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মালিহা জান্নাত জানালেন, নতুন শাড়ি না কিনলেও চারুকলার মঙ্গল শোভযাত্রায় তিনি ঠিকই যাবেন।
“এবার আসলে যেহেতু রোজা, তাই সেভাবে বৈশাখ পালনের সুযোগ নেই। তারপরও এটা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় উৎসব। মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাব। কয়েকদিন পরেই যেহেতু ঈদ, তাই ঈদের নতুন জামা কিনব। আগের শাড়ি পরে এবার বৈশাখ কাটাব। তবে বৈশাখী মাস্ক কিনেছি, এটাই উৎসবে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।”