ক্যাটাগরি

ভোগান্তি যত বেশি, জিতে তত খুশি আনচেলত্তি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরপর দুই ধাপে সেই তৃপ্তির স্বাদই পেয়েছেন আনচেলত্তি। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির কাছে ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগের প্রথমার্ধেও তারা পিছিয়ে পড়ে ১-০ গোলে। সেখান থেকে দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল করে দারুণ জয়ে তারা পা রাখে কোয়ার্টার-ফাইনালে।

শেষ আটের লড়াইয়ে প্রথম লেগে চেলসির মাঠে ৩-১ গোলে জয়ের পর পথ মসৃণ হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এবারও তারা পৌঁছে যায় বিদায়ের দুয়ারে। দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার রিয়ালের মাঠে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের যখন মিনিট দশেক বাকি, তখনও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে পিছিয়ে রিয়াল।

সেখান থেকে আরও একবার তাদের মরণ কামড় দেওয়ার পালা। ৮০তম মিনিটে লুকা মদ্রিচের চোখধাঁধানো এক পাসে রদ্রিগোর দারুণ গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে করিম বেনজেমার হেডের গোল চেলসির আশা মাড়িয়ে রিয়ালকে পৌঁছে দেয় সেমি-ফাইনালে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে আনচেলত্তি বললেন, এভাবে জিতেই বেশি উচ্ছ্বসিত তিনি।

“আমার ভোগান্তি যত বেশি, আমি ততটাই বেশি খুশি। আজকে অবশ্য অনেক বেশিই ভুগতে হয়েছে। আমরা হারের পথে ছিলাম। তবে, আমার মতে তা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। দল দারুণ করেছে। গোল করার কোনো তাড়া আমাদের ছিল না। আমাদের তা প্রয়োজনও ছিল না। তবে তারা যখন দ্বিতীয় গোলটা করল, এটা তাদের প্রাপ্য ছিল না।”

“আমরা যা করেছি, তাতে গর্বিত হতেই পারি। শেষ ষোলোয় পিএসজির বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ে জিতেছি আমরা, এরপর কোয়ার্টার-ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেলসির বিপক্ষে জয়, এসব সহজ কিছু নয়। এর চেয়ে বেশি খুশি আর হতে পারতাম না।”

দ্বিতীয় লেগে দারুণ দাপুটে ফুটবল উপহার দেয় চেলসি। প্রথমার্ধে তো সেভাবে ম্যাচেই ছিল না রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধেও চেলসিকে মনে হয়েছে শ্রেয়তর। ম্যাচে তৃতীয় গোলটি করে তারা যখন এগিয়ে যায় দুই লেগ মিলিয়ে, তাদের জয়ই মনে হচ্ছিল সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল। কিন্তু রিয়াল যে হারার আগে হারে না!

তাদের সেই চিরায়ত চরিত্র শেষ সময়ে ফুটে ওঠে আরেকবার। দলের এই মানসিকতায় মুগ্ধ কোচ আনচেলত্তি।

“আমরা লড়াই জিতেছি, কারণ ম্যাচ জিইয়ে রাখার প্রাণশক্তি আমাদের ছিল। ছেলেরা ছিল সাহসী এবং ওরা যোদ্ধার মতো মোকাবেলা করেছে।”

“আমরা জানতাম ম্যাচটি কঠিন হবে। কিন্তু মাঠে তা আরও বেশি জটিল হয়ে পড়ে। ওদের দ্বিতীয় গোলের পর মনস্তাত্ত্বিকভাবে দল একটু মিইয়ে যায়। তবে এই স্টেডিয়ামের জাদুর ছোঁয়ায় ছেলেরা আবার উজ্জীবিত হয়ে ওঠে এবং হাল না ছেড়ে লড়ে যায়।”