ক্যাটাগরি

‘ভয়-ভীতি থাকলে প্রেস কনফারেন্সে আসতাম না’

পোর্ট
এলিজাবেথ টেস্টের পঞ্চম দিন হওয়ার কথা ছিল যেদিন, সেদিনই দেশের উদ্দেশে রওনা দেন মুমিনুলরা।
টেস্ট যে শেষ তিন দিন আর এক সেশনেই! চতুর্থ ইনিংসে স্রেফ ৮০ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ
হারে ৩৩২ রানে। প্রথম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ৫৩ রানে গুটিয়ে পরাজয় ছিল ২২০ রানের।

বাজেভাবে
সিরিজ হারের পর কয়েকভাগে দেশে ফিরছে টেস্ট স্কোয়াড। প্রথম ভাগে বুধবার ফিরেছেন মুমিনুলসহ
কয়েকজন। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, প্রশ্নের
মুখোমুখি হতে তার ভয় নেই।

“আমি
যদি নেতিবাচক চিন্তা করি, আমার কাছে মনে হবে আমি ভীরু। ওরকম চিন্তা করলে… দেখুন, আগে
জিতে যখন ফিরেছি, তখন এসেছি এই জায়গায়। আমি যদি ভীতু হতাম বা আমার মধ্যে যদি ভয়-ভীতি
থাকত, এই সিরিজের পর প্রেস কনফারেন্সে আসতাম না। আমি যেরকমই ছিলাম, সেরকমই আছি।”

“আমার
কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, এই সিরিজে যে ভুল করেছি, পরের সিরিজে যেন না করি। পুনরাবৃত্তি
হলে সেটা দেখার বিষয়।”

পরের
সিরিজটি খুব দূরে নয়। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ৮ মে ঢাকায় আসবে শ্রীলঙ্কা
দল। মুমিনুলের বিশ্বাস, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দল।

“পরিকল্পনা
তো অবশ্যই আছে (ঘুরে দাঁড়ানোর)। সবাই চিন্তা করে এসব নিয়ে। এমন না যে এই প্রথম আমরা
এই পরিস্থিতিতে পড়েছি। আগেও অনেক পড়েছি। বেরও হয়েছি এখান থেকে। আমরা জানি কীভাবে এখান
থেকে বের হতে হবে।”

তবে
ঘুরে দাঁড়ানো মানেই দারুণ কিছু করা নয়। মুমিনুলের মতে, ওয়ানডের মতো টেস্টেও সমীহ জাগানিয়া
শক্তি হয়ে উঠতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাদেরকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় হতাশার সিরিজ থেকে
দল অনেক কিছু শিখেছে বলেও মনে করেন তিনি।

“টেস্টে
যদি বলেন উন্নতির কথা, টেস্ট যদি আগামী দুই বছরও খেলি, সারা জীবনও খেলি, টেস্টে উন্নতির
শেষ নেই। টেস্ট খেলা ওয়ানডের মতো নয়, এখানে পাঁচদিনে সব জায়গায়, সব বিভাগে, ব্যাটিং
হোক বা বোলিং, প্রতিটি জায়গা প্রতিটি দিন গুরুত্বপূর্ণ। ভালো জায়গায় বল করা, সেশন ধরে
ব্যাট করা, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করা… টেস্টে আমাদের অনেক উন্নতি করা লাগবে। এটা
আমি সব সময় বলি, ম্যাচ জিতলে বলি, হারলেও বলি।

“হারি
বা জিতি, প্রত্যেক সিরিজেই কিন্তু শেখার অনেক কিছু থাকে। আপনি যদি শেখা বাদ দেন, তাহলে
উন্নতি করতে পারবেন না। আমাদের শেখার অনেক কিছুই আছে। আমার মনে হয় যে, ব্যাটিংয়ে স্পিন
কীভাবে সামলাবেন… টেস্ট ক্রিকেটে কিছু সেশন থাকে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন, কিছু সেশনে
পারবেন না। না পারলে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, এগুলো শেখা দরকার। বোলাররা নতুন বলে কোন
জায়গায় বোলিং করবে, পুরনো বলে কোথায় বোলিং করবে, শেষ সেশনে কীভাবে বোলিং করবে, শেখার
অনেক কিছুই আছে।”