ক্যাটাগরি

মোহনবাগান ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত আবাহনী

বরং আইএসএলের তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য দলের
সবাই মুখিয়ে আছেন, বললেন তারা।

এএফসি কাপের বাছাইয়ের শেষ ধাপ প্লে-অফে আগামী ১৯ এপ্রিল মোহনবাগানের
মুখোমুখি হবে আবাহনী। ম্যাচটি হবে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে। নিজেদের মাঠে, চেনা
দর্শকের সামনে খেলার সুবিধা পাবে মোহনবাগান।

প্লে-অফের মঞ্চে দুই দলের উঠে আসার গল্পটা ভিন্ন। শ্রীলঙ্কার দল
ব্লু স্টারকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এসেছে মোহনবাগান। অন্যদিকে, আর্থিক সংকটে ভালেন্সিয়া
বাংলাদেশে আসতে না পারায় আবাহনী পায় ওয়াকওভার।

২০১৯ সালের এএফসি কাপ অবশ্য অনুপ্রেরণার উপলক্ষ জীবনদের কাছে। সেবার
বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসাবে এ প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল
আবাহনী। এই কীর্তি গড়ার পথে আকাশী-নীলরা জিতেছিল ভারতের দল চেন্নাইন এফসি ও মিনেরভা
পাঞ্জাবের বিপক্ষে। প্রথম লেগে মিনেরভার বিপক্ষে ২-২ ড্র করা আবাহনী চেন্নাইনের কাছে
১-০ গোলে হেরেছিল। ফিরতি লেগে চেন্নাইনকে ৩-২ ও মিনেরভাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল লেমোসের
দল। সেই প্রসঙ্গ পেড়ে বসলেন আবাহনীর আক্রমণভাগের অভিজ্ঞ সেনানী জীবন।

“হ্যাঁ, মোহনবাগান বড় দল, তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাদেরকে আমরা
মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না। কিন্তু এটাও তো সত্যি ২০১৯ সালে ভারতের দলগুলোকে হারিয়ে
আমরা দ্বিতীয় ধাপে উঠেছিলাম। তাদের হারানোর অভিজ্ঞতা তো আমাদের আছেই।”

“ওদের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো ভীতি নেই। বরং বলতে
পারেন, সবার মধ্যে এ ম্যাচ নিয়ে অন্যরকম রোমাঞ্চ কাজ করছে। কেননা, মোহনবাগান বড় দল,
তাদের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছে সবাই।”

ভালেন্সিয়া না এলেও সিলেটে নিজেদের মতো অনুশীলন সেরেছে আবাহনী। প্রস্তুতি
নিয়ে খুশি লেমোস। তার দুর্ভাবনার জায়গা দোরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তোকে নিয়ে। চোটে ভুগছেন
এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। চলতি লিগে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে (৭টি) মোহনবাগানের বিপক্ষে
পাওয়া নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন লেমোস।

“প্রস্তুতি ভালোই চলছে। সিলেটে আমরা ১২ দিন অনুশীলন করেছি, কঠোর
পরিশ্রম করেছি সেখানে। দল ভালো অবস্থায় আছে। দোরিয়েলতনকে পাব কিনা, তা এখনও জানি না।
যে পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে ওর খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি।”

এএফসি কাপের গত আসরে প্লে-অফ থেকে বাদ পড়েছিল আবাহনী। প্রাণঘাতী
করোনাভাইরাসের থাবায় অনেক দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দলটিকে বাদ দিয়েছিল এএফসি।
ওই সিদ্ধান্তে ‘ওয়াকওভার’ পেয়ে প্লে-অফে খেলার সুযোগ পেয়েছিল মালদ্বীপের দল ঈগলস। এবার
প্লে-অফের প্রতিপক্ষ মোহনবাগান। ঐতিহ্যে-সাফল্যে তারা ভারতের সেরা ক্লাবগুলোর একটি।
লেমোসের বিশ্বাস জমজমাট লড়াইয়ের পর তার দলই জিতবে।

“আমি সবসময়ই বাস্তববাদী এবং আমার মনে হয় মোহনবাগানের বিপক্ষে আমাদের
ম্যাচটি খুব কঠিন হবে। ওরা খুবই ভালো দল, কিন্তু আমিও বিশ্বাস করি-সবসময় আমাদের জয়ের
সুযোগ আছে।”

মোহনবাগান বাধা পেরুতে পারলে ‘ডি’ গ্রুপে জায়গা পাবে আবাহনী। সেখানে
আগে থেকেই আছে বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও
মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস।