বুধবার এস্তোনিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে জেলনস্কি বলেন, ‘‘রুশ বাহিনী ইউক্রেইনের আবাসিক এলাকা এবং বেসামরিক অবকাঠামোগুলোর উপর সব ধরনের কামানের গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। তারা আকাশ থেকে বোমা, বিশেষ করে ফসফরাস বোমা ফেলছে।”
“এটা বেসামরিক জনগণের উপর স্পষ্টতই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।”তবে জেলনস্কি ইউক্রেইনে রাশিয়ার রাসায়নিক বোমা ব্যবহারের পক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সও স্বতন্ত্র ভাবে জেলনস্কির দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই রাশিয়া বেসামরিক মানুষের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বরং তাদের দাবি, ইউক্রেইন ও পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের যে অভিযোগ তুলেছে সেটা মিথ্যা ও বানোয়াট।
ইউক্রেইনের সর্ববৃহৎ বন্দরনগরী দক্ষিণের মারিউপোলে রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অনির্ভরযোগ্য খবর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ।
মারিউপোলের অধিকাংশই এখন রাশিয়ার দখলে। ভৌগলিক কারণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই নগরীটির সম্পূর্ণ দখল পেলে ইউক্রেইনের পূর্ব ও পশ্চিমের যেসব এলাকা রাশিয়া দখল করেছে সেগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে। রাশিয়ার দাবি, মারিউপোলের ‘হাজারের বেশি সেনা আত্মসমর্পণ করেছে’।
রুশ বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মিলে মারিউপোলের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে রাশিয়া এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য না করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বুধবার জেলনস্কির বক্তব্যের জাবাবও মস্কো থেকে এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। রাশিয়া থেকে জোর করে ইউক্রেইনীয়দের বিতাড়িত করা হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন জেলনস্কি।
যদিও তিনি তার এ অভিযোগের সপক্ষেও কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। জেলেনস্কি রাশিয়ার উপর আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপই একমাত্র পথ।
ইউক্রেইনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এখন পর্যন্ত সেখানে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।