ক্যাটাগরি

রিয়াল কোচের সঙ্গে রেফারির হাসাহাসিতে ক্ষুব্ধ চেলসি কোচ

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে রিয়ালের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলতে গিয়েছিল চেলসি। কঠিন সেই অভিযানে মঙ্গলবার দাপুটে ফুটবল খেলে তারা ব্যবধান ঘুচিয়ে এগিয়ে যায় আরও। রিয়ালকে কোণঠাসা করে ম্যাচে এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে তখন চেলসি এগিয়ে ৪-৩ গোলে। 

কিন্তু রিয়াল ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। ৮০তম মিনিটে মদ্রিচের অসাধারণ ক্রসে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন রদ্রিগো। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে করিম বেনজেমার গোল রিয়ালকে আবার এগিয়ে দেয় দুই লেগ মিলিয়ে। এবার আর ফিরতে পারেনি চেলসি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে চেলসি কোচ টমাস টুখেল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ম্যাচের পোলিশ রেফারি সিমন মার্চিনাকের আচরণ নিয়ে।

“খেলা শেষে আমি গিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাইছিলাম। কিন্তু সে তখন প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে হাসাহাসি ও মজা করছিল। আমার মনে হয়, এসবের জন্য সময়টা ঠিক ছিল না।”

“শেষ বাঁশি বাজার ঠিক পর, ১২৬ মিনিট ধরে একটা দল নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার পর যখন গিয়ে দেখা যায়, রেফারি প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে হাসাহাসি করছেন… খুব বাজে সময় বেছে নিয়েছেন তিনি। আমি তাকেও এটা বলেছি।”

রেফারির ওপর টুখেলের অসন্তুষ্টি আছে আরও। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে মার্কোস আলোন্সো রিয়ালের জালে বল পাঠালেও তা ভিএআর-এ তা বাতিল হয়ে যায় বল আলোন্সোর হাত স্পর্শ করায়। এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন ভালো লাগেনি চেলসি কোচের।

“গোলটি আমি দেখিনি। তবে আমি ভীষণ হতাশ যে সে (রেফারি) নিজে গিয়ে এটা পরীক্ষা করে দেখেনি। কতৃত্বে তার নিজেরই থাকা উচিত ছিল, বিচ্ছিন্নভাবে চেয়ারে বসে থাকা একজনের ওপর সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।”

রেফারির ওপর বিরক্তি থাকলেও নিজ দলের খেলায় পুরো সুন্তুষ্ট টুখেল। দলের পারফরম্যান্সে তিনি গর্বিত বলেও জানালেন।

“আমরা আজকে আমাদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি। ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত। কোয়ালিফাই করা আমাদের প্রাপ্য ছিল, তবে ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না।”

“কোনো আক্ষেপ নেই… খেলাধুলায় এসব পরাজয় গর্ব নিয়েই গ্রহণ করা যায়। চেলসিতে চাওয়া সবসময় অনেক উঁচুতে থাকে এবং ছেলেরা যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তাতে আমরা সবাই গর্বিত।”