দক্ষিণ
আফ্রিকা সফরে অতীতের ৬ টেস্টের মতো এবারের ২ টেস্টেও বড় হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে দুই টেস্টেই চতুর্থ ইনিংসে জঘন্য ব্যাটিংয়ের তেতো স্বাদ। ডারবানে
১৯ ওভারে ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় দল, পরের টেস্টে ২৩.৪ ওভারে ৮০ রানে।
সেই
২০০৭ সালের পর এই প্রথম টানা দুই টেস্টে একশর নিচে অল আউট হলো বাংলাদেশ। অথচ গত জানুয়ারিতে
নিউ জিল্যান্ডে স্মরণীয় টেস্ট জয় ও এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্ট
সিরিজ নিয়েও আশা আরেকটু বেশি ছিল।
মুমিনুল
যদিও সমস্যা দেখছেন আশা করার জায়গাতেই। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়েক ভাগে দেশে ফিরছে টেস্ট
স্কোয়াড। প্রথম ভাগে বুধবার দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টেস্ট
অধিনায়ক বললেন, টেস্ট দলের বাস্তবতা আগের মতোই আছে।
“অ্যালার্মিং
না (৫৩ ও ৮০ রানে গুটিয়ে যাওয়া)… যেটা আমার কাছে মনে হয়, এর আগেও কিন্তু অনেক সময় হয়েছে।
বাংলাদেশেও কিন্তু হয়েছে। আপনাদের হয়তো প্রত্যাশাটা একটু বেশি ছিল। আপনারা হয়তো অনেকে
মনে করছেন, আমরা একটা টেস্ট ম্যাচ জেতার পর বিশ্বের এক নম্বর বা দুই নম্বর দল হয়ে গেছি।”
“এটা
আপনাদের বুঝতে হবে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনেক থিতু দল, টেস্টে কিন্তু ওইভাবে নয়। আপনি
যেটা বললেন, নড়বড়ে হয়ে গেছে, আসলে নড়বড়ে হয়নি।”
অধিনায়ক
নিজে এই সফরে চার ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন ১৩। নিউ জিল্যান্ডে দলের জয়ের টেস্টে ৮৮
রানের একটা ইনিংস তিনি খেলেছিলেন। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে চার ইনিংস মিলিয়ে
করতে পেরেছিলেন স্রেফ ১৪ রান।
দলের
হার, নিজের বাজে ফর্ম মিলিয়ে প্রবল সমালোচনার স্রোতে আছে এখন মুমিনুলের নেতৃত্ব। অধিনায়কত্বের
চাপ তার ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে কিনা, দলকে উজ্জীবিত করার সামর্থ্য তার কতটা আছে, এই
প্রশ্নগুলো উঠতে শুরু করেছে জোরেসোরেই।
মুমিনুল
এসবকেও আলিঙ্গন করছেন দু হাত বাড়িয়ে। তার মতে, চাপ থেকেই ভালো কিছু হয়।
“পাকিস্তান
সিরিজ আর এই সিরিজে ফলাফল হয়নি (ভালো)। ফল (ভালো) না করলে আমি নই, বিশ্বের যে কোনো
অধিনায়কের কাছে… (চাপ আসবে)। জো রুট কিন্তু এক বছরে ৬ থেকে ৭টি সেঞ্চুরি করেছে, তারপরও
কিন্তু তার কাছে চাপ আসে। অধিনায়কত্ব এমন একটা জিনিস, আপনি পারফরম্যান্স না করলে চাপ
আসবেই।”
“আর
এই লেভেলের ক্রিকেটে আপনাকে চাপ নিতে হবে।
আমি এটা নিয়ে চিন্তিত নই। একটা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, একটা দেশের অধিনায়ক
হবেন, আপনার কাছে চাপ আসবেই। চাপ আসা মানেই সমৃদ্ধ হওয়া। চাপ যত বেশি নেবেন, উন্নতি
তত বেশি হয়।”
মুমিনুলের
দলের পরের সিরিজ আগামী মাসেই। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ৮ মে ঢাকায় আসবে
শ্রীলঙ্কা দল।