ফসলের মাঠ সোনালি ধানে ভরে আছে। ইতোমধ্যে পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা চিন্তা করে আশি শতাংশ ধান পাকলেই কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর বলেন, তার জেলায় এবার ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এটা লক্ষ্যের চেয়ে দুই হাজার ৮৬০ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশ উচ্চফলনশীল।
“মাঠের ধান ভাল অবস্থায় আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক বাম্পার ফসল পাবেন। দুর্যোগের কথা চিন্তা করে ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলে ঘরে তুলে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।”
কৃষকদের পরামর্শ দিতে কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা, শেখরা ও বিষ্ণুপুর গ্রামের মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, যত দূর চোখ যায়, মাঠ ভরা ধান আর ধান। কাঁচাপাকা ধান দাঁড়িয়ে আছে জমিতে।
শেখরা গ্রামের কৃষক কালাম ফকির বলেন, “তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। ফলন খুবই ভাল। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ধান ২৫ থেকে ৩০ মণ হবে বলে আশা করছি।”
তিনি ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছেন।
একরামুল শেখ নামে আরেকজন কৃষক জানান, তার ধান পাকতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেক পরে ধান পুরোপুরি পেকে যাবে। পাকার সঙ্গে সঙ্গে কেটে ঘরে তুলবেন।
তিনি বলেন, “এ বছর আবহাওয়া নিয়ে কিছুটা ভয়ে আছি। উত্তরে শুনেছি বৃষ্টির সঙ্গে বড় বড় শিলা পড়েছে। আমাদের এখানে যদি ওই রকম শিলা পড়ে তাহলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হবে।”
একই দুশ্চিন্তার কথা বলেন আরও অনেকে।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পাইক মাসুদ রানা বাবুল বলেন, “আমার ইউনিয়নে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বৈশাখ শুরু হয়েছে। প্রকৃতি কখন বৈরী হবে তা বলা মুশকিল। তাই যেসব জমির ধান পেকে যাবে তারা যেন দ্রুত তা কেটে ঘরে তোলে সেই পরামর্শ দিচ্ছি।”