বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে, আবেগঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে; পঞ্জিকার হিসাবে যা ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলাদা কর্মসূচি পালন করে। সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নববর্ষ উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক মো. রেজউল করিম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, মেয়র কাজিউল ইসলাম, একুশে পদকপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন অংশ নেন। এতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি, শিশু অ্যাকাডেমি, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাব, শিশু নিকেতন, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঐতিহ্য ও প্রচ্ছদ কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও অংশ নেয়।
দুপুরে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ও প্রচ্ছদ কুড়িগ্রাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পিরোজপুর
পিরোজপুরে ভোর থেকেই বর্ষবরণে রংবেরঙেরর পোশাকে সর্বস্তরের মানুষ ঘর থেকে বের হন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা শিল্পকলার ব্যবস্থাপনায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে সকালে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পিরোজপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিল্পকলা একাডেমি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী পালকী, বর-বধু, জেলে, কৃষাণ-কৃষাণী সাজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনদিন ব্যাপি বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চৌধুরী রওশন ইসলাম, শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সম্পাদক জিয়াউল আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ, সদর থানার ওসি আ. জ. মো: মাসুদুজামান উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট
বাগেরহাটে নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার অনুষ্ঠান হয়েছে। উদযাপনের শুরুতে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো,’ গানে নববর্ষকে বরণ করে নেয় জেলা প্রশাসনসহ নানা শ্রেণির মানুষ। নববর্ষ উপলক্ষে শহরের শহীদ মিনার থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশ নেয়। বাগেরহাট জেলা পরিষদ মাঠে সাতদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
এ সময় তরুণ প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানানো হয়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মো. রিজাউল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ হায়দার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুর
দিনাজপুরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষে সকাল ১০টায় দিনাজপুর একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর বৈশাখী উদযাপন পরিষদের যৌথ আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিন করে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে ডিসি খালেদ মোহাম্মদ জাকী ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন অংশ নেন।
এর আগে সকাল ৮টায় বৈশাখী উদযাপন পরিষদের আয়োজনে একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণে প্রভাতি অনুষ্ঠান হয়।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
সকাল সোয়া ৯ টার দিকে বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তার নেতৃত্বে ‘আলোকের পথে, প্রভু, দাও দ্বার খুলে…’ প্রতিপাদ্যে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে বাংলা বিভাগে ‘বৈশাখী বার্তা’ দেয়ালিকা উদ্বোধন করা হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রম্য বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
তাছাড়া বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্থাপত্য বিভাগে ঘুড়ি উড়ানো উৎসব ‘উড়াল’ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর
রংপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রংপুরে বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকাল ১০টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ থেকে শুরু হয়ে জেলা স্কুল মাঠে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্নস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
এবারের শোভাযাত্রায় মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম, ঘোড়ার গাড়ি, পালকি, পুতুলসহ বিভিন্ন মোটিফ রয়েছে। তাছাড়াও রং-তুলির আঁচড়ে আঁকা বাঘ, সিংহসহ নানা রকমের মুখোশের দেখা মিলেছে।
তবে পহেলা বৈশাখে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না বলে রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বর্ষবরণের সব আয়োজন এবার বেলা ২টার মধ্যে শেষ হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের মাধ্যমে সংকীর্ণতার ঘৃণ্য অবয়বের ওপর সাংস্কৃতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।
শেরপুর
শেরপুরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বেলা ১১টার দিকে শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিক।
শেরপুরে বৈশাখী মেলায় শিশু-কিশোর
শোভাযাত্রায় শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়িরসহ নানা রংয়ের পোশাকে শোভাযাত্রায় বিভিন্ন প্রাণির ও লোকজ ঐতিহ্যের প্রতিকৃতি এবং নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেন অংশহগ্রহণকারীরা।
শোভাযাত্রাটি শেরপুর টাউনের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে নববর্ষের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় হুইপ আতিউর রহমান আতিক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মুকতাদিরুল আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম অংশ নেন। পরে জেলা শিশু একাডেমীর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
তাছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়।
চাঁদপুর
চাঁদপুরে হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন শুরু করে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ডাকাতিয়ার পাড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। পরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ভোর থেকেই নববর্ষের আনন্দ উদযাপনে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। পুরুষরা পাজামা-পাঞ্জাবি, নারীরা শাড়ি, এবং শিশুরা বিভিন্ন বাহারি রংয়ের পোশাকে ডাকাতিয়ার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ”বাঙালি আমাদের চেতনায়, আমাদের সংস্কৃতি মিশে আছে। বাংলা নববর্ষ আমাদের সার্বজনীন উৎসব। এই উৎসবে আমরা সব ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করি।”
নারায়ণগঞ্জ
রংপুরের সড়কে ঝাপিজালে মাছ ধরার কৌশল দেখানো হচ্ছে
নারায়ণগঞ্জে নানা আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কপিল দাসের দোতরার সুরে বর্ষবরণের প্রভাতি অনুষ্ঠান শুরু করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। তাছাড়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের জিমখানা শেখ রাসেল পার্কে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে পার্কের ভেতরে ঘুরে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে তবলা লোহরা, বাশি একক আবৃত্তি, একক সঙ্গীত ও দলীয়ভাবে জাতীয় সংগীত ও ’এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশিত হয়।
এদিকে খেলাঘর আসর নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শেখ রাসেল পার্কে।
পাবনা
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণিল আয়োজনে পাবনায় নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে বর্ষবরণের শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় সরকারি দপ্তর, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ নিয়ে যোগ দেন। এ সময় জেলা কারাগার, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল, আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, পাবনা জিলা স্কুল, সেন্ট্রাল গার্লস স্কুলসসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা জেলে, বর-বধূ, গাড়োয়ান, মাঝি বেশে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
বর্ষবরণে যোগ দিয়ে সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তালেবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বাঁধ ভাঙা আনন্দে মেতেছে।
নরসিংদী
বর্ষবরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। পরে নতুন শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে গ্রাম-বাংলার নানা ঐতিহ্যবাহী প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে বাউল গান ও নাটক পরিবেশন, যাত্রাপালাসহ বাংলা সংস্কৃতির ধারা তুলে ধরা হয়।
তাছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শহরের ঐতিহ্যবাহী আরশীনগর বটমূলে সামসুদ্দীন আহমেদ এছাক সংগীত একাডেমীর উদ্যোগে সাতদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা ও প্রতিযোগিতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মাগুরা
পহেলা বৈশাখে মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী লঠিখেলা
মাগুরায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রা, মতিউর রহমানের ফুটবল প্রদর্শনী ও লাঠী খেলার মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
সকালে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জেলা শিল্প কলা একাডেমি ও উদীচী শিল্পগোষ্ঠি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরে নোমানী ময়দান থেকে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা উদ্ধোধন করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ড.আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপর জহিরুল ইসলাম ও পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল। শোভাযাত্রায় বাঙ্গালি সংস্কৃতির হাতি, ঘোড়া, ইলিশ মাছ, চরকা, দোয়েল পাখি, ঢাক-ঢোল, বাঁশি হাতে সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। শোভযাত্রা শেষে দুপুরে নোমানী ময়দানে ফ্রি-স্টাইলার ফুটবলার মতিউর রহমানের ফুটবল প্রদর্শনী ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়।