তার মতে, শিরোপাধারী চেলসিকে পেছনে ফেলে রিয়ালের জয়োল্লাস ও ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ভিয়ারিয়ালের সেমি-ফাইনালে ওঠায় প্রমাণ হয় যে প্রিমিয়ার লিগের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই লা লিগা।
নিজের দেশের দুই ক্লাবের এমন সাফল্যে অবশ্য দারুণ খুশি শাভি। যদিও তার মনে এই সেরার মঞ্চে থাকতে না পারার কষ্টও আছে। এবারই যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে তার বার্সেলোনা নেমে গেছে ইউরোপা লিগে।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বৃহস্পতিবার আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। কাম্প নউয়ে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
গত সপ্তাহে জার্মান দলটির মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচ ১-১ ড্র হয়েছিল। শেষ চারে উঠতে তাই এবার জয়ের বিকল্প নেই বার্সেলোনার সামনে। মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল ও ভিয়ারিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন শাভি।
“মঙ্গলবার যা ঘটেছে তা প্রমাণ করে, প্রিমিয়ারি লিগের চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই লা লিগা। যাই ঘটুক না কেন, লা লিগা সব সময় লা লিগাই থাকবে এবং প্রতিযোগিতাটি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।”
“আমি দুই ম্যাচই দেখেছি। আমি ফুটবল ভক্ত এবং আমাদের মূল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরে আসা। যাই হোক,ভিয়ারিয়াল এখন খুব বড় ক্লাব, তাই নয় কি? বড় ক্লাবের তালিকায় এখন তাদেরকেও রাখা উচিত।”
লা লিগায় শিরোপার লড়াইয়ে রিয়াল অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ৩১ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। তাদের ছোঁয়ার বাস্তবিক সম্ভাবনা অবশ্য নেই কারো। তবে, বাকি রাউন্ডগুলোয় নাটকীয় মোড় নিলে সুযোগ থাকবে বার্সেলোনা ও সেভিয়ার।
এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে কাতালান ক্লাবটি। তাদের সমান ৬০ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া তৃতীয় স্থানে, তবে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা।
মৌসুমের শুরুতে ভীষন বাজে অবস্থা ছিল বার্সেলোনার। সেখান থেকে শাভির কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। কঠিন হলেও এখন লা লিগা জয়ের স্বপ্নও দেখছে তারা।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা যে দাপুটে পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে, যে দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছে, তাতে কি বার্সেলোনার ওপর সমর্থকদের চাওয়া বাড়ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে শাভি বললেন, তারা নিজেদের জন্যই জিততে চান। অন্যদের সাফল্যের কারণে বাড়তি চাপের কিছু নেই।
“বার্সেলোনার ইতিহাসই আমাদের ওপর (শিরোপা জয়ের) দাবি রাখে, মাদ্রিদের জন্য নয়। নিজেদের আসলটা বের করে আনতে আমাদের রিয়াল মাদ্রিদের দিকে তাকানোর দরকার নেই। নিজেদের ইতিহাসই আমাদের ওপর বড় চাপ ও দায়িত্ব।”
“ইয়োহান ক্রুইফ (সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ) আসার পর তিনি নিজের জন্য একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিলেন। সেটা হচ্ছে, ভালো খেলে জেতা। আমরা কাতালানরাও এমন। এভাবেই আমরা ফুটবলকে দেখি, ধারণ করি। আমি জানি না মাদ্রিদে বিষয়টা কেমন। মাদ্রিদের সবার মধ্যেও একটা চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জিন আছে, কিন্তু বার্সেলোনার গল্প ভিন্ন।”