ক্যাটাগরি

অ্যানফিল্ডে ড্র করে শেষ চারে লিভারপুল

অ্যানফিল্ডে বুধবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে জেতা লিভারপুল দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে পা রেখেছে।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংলিশ ক্লাবটির প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল। যারা আগের দিন শেষ আট থেকে বিদায় করে দিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে।

প্রথম লেগের একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামে লিভারপুল। আগামী শনিবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে এফএ কাপের সেমি-ফাইনাল মাথায় রেখেই হয়তো বেঞ্চে রাখা হয় মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানেদের।

ধীরলয়ে শুরু ম্যাচে ত্রয়োদশ মিনিটে গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শটটি নেয় বেনফিকা। ২০ গজ দূর থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এভেরতনের প্রচেষ্টা পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।

অষ্টাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরা। রবের্তো ফিরমিনোর সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ডি-বক্সে বাড়ান লুইস দিয়াস। এগিয়ে এসে জেমস মিলনারকে রুখে দেন গোলরক্ষক ওদেসিয়াস ভ্লাখোদিমস।

দুই মিনিট পরই মেলে সাফল্য। কসতাস সিমিকাসের কর্নারে হেডে দলকে এগিয়ে নেন ইব্রাহিমা কোনাতে। প্রথম লেগেও হেডেই দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। লিভারপুলের হয়ে সেটি ছিল তার প্রথম গোল।

একটু পর বেনফিকার দারউইন নুনেস বল জালে পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ২৫তম মিনিটে দিয়াসের জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ভ্লাখোদিমস।

৩২তম মিনিটে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। দিয়োগো গনসালভেসের পাস লিভারপুলের মিলনারের পা ছুঁয়ে পেয়ে যান গনসালো রামোস। বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে আলিসনকে পরাস্ত করেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

প্রতিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতায় ৫৫তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় লিভারপুল। দুইবার সুযোগ পেয়েও বল ক্লিয়ার করতে পারেনি সফরকারীরা। জটার পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান ফিরমিনো।

দুই বছরের বেশি সময় পর অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে গোল পেলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এর আগে সবশেষ ২০২০ সালের মার্চে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে জালের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। 

এরপরই জটাকে তুলে সালাহকে ও জর্ডান হেন্ডারসনের জায়গায় ফাবিনিয়োকে নামান লিভারপুল কোচ।

১০ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান ফিরমিনো। সিমিকাসের দারুণ ফ্রি-কিকে ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

৭৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান রোমান ইয়ারেমচুক। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে আলিসনকে কাটিয়ে গোলটি করেন তিনি। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

সাত মিনিট পর সমতা টানেন নুনেস। সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে আলিসনকে পরাস্ত করেন তিনি। এবারও শুরুতে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। একইভাবে ভিএআরে সিদ্ধান্ত বদলে যায়।

নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে সালাহর পাস থেকে বল জালে পাঠান দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা মানে। তবে অফসাইডে বাঁশি বাজান রেফারি। যোগ করা সময়ে বেনফিকার নুনেস জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।

ঘরের মাঠে জিততে না পারলেও মৌসুমে চার শিরোপার সবগুলো জয়ের পথেই থাকল লিভারপুল।

ইউরোপা সেরার মঞ্চে শেষ চারের প্রথম লেগে আগামী ২৭ এপ্রিল অ্যানফিল্ডে খেলবে ইংলিশ দলটি। এরপর ৪ মে ফিরতি লেগ হবে ভিয়ারিয়ালের মাঠে।