বুধবার রাতে
ব্যাংক মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ চলাকালে বহু বোমার বিস্ফোরণ হয়; পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে।
আহতদের জাজিরা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাজিরা থানার এসআই
ইকরাম হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, গত ২০ মার্চ উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম
জন্মদিন উপলক্ষে মেলায় জাজিরা পৌরসভার দুই
গ্রাম ফকির কান্দি ও আক্কেল মাহমুদ মুন্সি কান্দির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এসআই ইকরাম বলেন, এর
জের ধরে বুধবার রাতে দুদলের কয়েকজন লোকের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা
ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, সংঘর্ষে
উভয়পক্ষের লোকজন দেশে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র, শতশত হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমা ও
ইটপাটকেলের আঘাতে ছয় পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
এরা হলেন ইমরুল
হাসান (২৬), ইসলাম শেখ (২৪), আশ্রাফ (২৫), আশিক (২৭), জোহান (২৮) ও উত্তম (৩৮)।
আরও আহতদের মধ্যে
রয়েছেন শাকিল শিকদার (১৮), ওয়াজকুরুনি গাজী (১৮), রিফাত বেপারী (১৮), অর্জুন ফকির (১৭),
জাহিদ সরদার (২২), রাজন শেখ (২৬), বিকাশ চৌকিদার (৩৭) ও রাব্বি ফকির (১৭)।
এসআই ইকরাম আরও
জানান, সংঘর্ষের সময় একটি ব্যাংকের শাখাসহ সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জাজিরা থানা পুলিশ ১৬ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস শেল ও শতাধিক
রাবার বুলেট ছুড়েছে।
জাজিরা থানার ওসি
ফারুক হোসাইন বলেন, “আমরা খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৬ রাউন্ড টিয়ার শেল ও
প্রায় শতাধিক রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছি।”
স্থানীয়দের ভাষ্য,
ফকির কান্দি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারীসহ
স্থানীয় এক কাউন্সিলর। আর আক্কেল মাহমুদ মুন্সি কান্দির নেতৃত্বে ছিলেন জাজিরা
পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর খা ও আরেক জনপ্রতিনিধি।
জাজিরা উপজেলা
ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল বেপারী বলেন, “আমি কোনো গ্রুপের নেতৃত্ব দেইনি। এটা দুই
গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। আমি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।”
জাজিরা পৌরসভার
সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর খা বলেন, দুই গ্রামবাসীর মারামারির বিষয়টি মীমাংশার চেষ্টা
চলছে।