প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পালাউয়ের করর শহরে সপ্তম
‘আওয়ার ওশেন (আমাদের মহাসাগর)’ সম্মেলনের ফাঁকে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ
দূত জন এফ কেরির আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এখন পালাউ সফর
করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মোমেন ও সুরাঙ্গেল বাংলাদেশ ও পালাউয়েরমধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
আরও জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরজন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক
উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অর্জন ও কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকারের সাফল্য
রাষ্ট্রপতি সুরাঙ্গেলের কাছে তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, ঔষধ সামগ্রী,
তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি দু’দেশের মধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে
গতিশীল করতে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিতভাবে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি সুরাঙ্গেল হুইপস দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
আয়োজনের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়েকার্যক্রম গ্রহণের জন্য দেশের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে তিনি বাংলাদেশ
থেকে ওষুধ আমদানি এবং চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ দেখান বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়।
এছাড়া সুরাঙ্গেল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা
করেন। পালাউয়ের রাষ্ট্রপতি সেদেশের উন্নয়নে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অবদানের কথাও
স্বীকার করেন।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশ ও পালাউ এর মতো ঝুঁকিপূর্ণ
দেশসমূহের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা হয়।
মোমেন সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পালাউয়ের
অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয়সহযোগিতা দিতে রাষ্ট্রপতি সুরাঙ্গেলের প্রতি অনুরোধ
জানান।
সাক্ষাৎকালে পালাউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুস্তাভ আইতারো,
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এফেয়ারসইউনিট প্রধান মো. খুরশীদ আলম এবং
পালাউয়ে সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহানউদ্দিন উপস্থিত
ছিলেন।