গ্রীষ্মের দলবদলে ১০ কোটি ইউরোর বিনিময়ে অ্যাস্টন ভিলা থেকে সিটিতে যোগ দেন গ্রিলিশ। প্রথম মৌসুমে খুব যে খারাপ করেছেন, তা নয়। তবে জালের দেখা পেতে ভুগতে হচ্ছে তাকে। এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জালের দেখা পেয়েছেন কেবল চারবার।
তার গোলের সংখ্যা কম হওয়ার একটি বড় কারণ গোলের লক্ষ্যে শট নেওয়ায় অনীহা। গড়ে প্রতি ৩০ বার বল স্পর্শ করে সেখান থেকে তিনি গোলের জন্য শট নিয়েছেন মাত্র একবার।
এই তালিকায় গ্রিলিশের চেয়ে এগিয়ে আছেন আক্রমণের চার খেলোয়াড় রিয়াদ মাহরেজ (প্রতি ১৭ বার স্পর্শে ১টি শট), গাব্রিয়েল জেসুস (প্রতি ১৯ বার স্পর্শে ১টি শট), রাহিম স্টার্লিং (প্রতি ২১ বার স্পর্শে ১টি শট) ও ফিল ফোডেন (প্রতি ২৩ বার স্পর্শে ১টি শট)।
দুই মিডফিল্ডার কেভিন ডে ব্রুইনে (প্রতি ২৪ বার স্পর্শে ১টি শট) ও ইলকাই গিনদোয়ানও (প্রতি ২৭ বার স্পর্শে ১টি শট) গ্রিলিশের চেয়ে গোলের উদ্দেশে শট নিয়েছেন বেশি।
দল অন্তপ্রাণ গ্রিলিশ অবশ্য গোল করার চেয়ে অন্যদের দিয়ে গোল করিয়েই তৃপ্তি পান বেশি। বিবিসিতে শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার বলেন, সতীর্থদের পরামর্শে তিনিও অনুভব করছেন, গোলমুখে স্বার্থপর হতে হবে তাকে।
“আমি নাকি সবার চেয়ে (গোলের লক্ষ্যে) কম শট নিই। আমি বুঝতে পারি না, ছেলেরা কেন এমনটা বলে। যেমন অনুশীলনে আমি গোল দিলে তারা বলে ওঠে, ‘(ম্যাচে) তুমি আরও বেশি শট নাওনা কেন’?”
“আমার সম্ভবত আরও বেশি স্বার্থপর হওয়া উচিত। কিন্তু আমি আসলেই নিজেকে একজন স্বার্থপর খেলোয়াড় হিসেবে দেখি না। যদি কেউ ভালো অবস্থানে থাকে তাহলে আমি তাকে পাস দেব। আমি আসলে গোল করাতেই পছন্দ করি- এই অনুভূতিটা ভালো লাগে যখন কেউ এসে গোলের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানায়। এটা দারুণ ব্যাপার। ফুটবলে গোল করাটাই সেরা অনুভূতি, তবে অ্যাসিস্ট করাটাই আমার পছন্দ। আমার অবশ্যই আরও বেশি অ্যাসিস্ট করা উচিত।”
গ্রিলিশের বিশ্বাস, পর্যাপ্ত গোলের দেখা না পেলেও নিজের কাজটা ঠিকঠাক মতোই করছেন তিনি।
“আমি বুঝতে পারি যে কেন লোকেরা (গোল ও অ্যাসিস্টের দিকে) মনোযোগ দিতে চায়, কিন্তু এখানে পরিস্থিতি ভিন্ন।”
“আমি আমাদের কোচ ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে বসেছিলাম, তারা আমাকে এমন পরিসংখ্যান দেখিয়েছেন, যা বলে দেয় আক্রমণের একজন খেলোয়াড় মানেই স্রেফ গোল ও অ্যাসিস্ট নয়। সম্ভাব্য অ্যাসিস্ট, সফল পাসের মতো কিছু দিক আছে যেখানে আমি বেশ সফল। (গোলের জন্য) আমার শুধু কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া দরকার এবং এরপর তা নিয়মিতভাবে আসবে।”