ক্যাটাগরি

দোলেশ্বর হানাফিয়া মসজিদ: নতুন-পুরনোর মেলবন্ধন

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের দোলেশ্বর হানাফিয়া মসজিদের বয়স দেড়শ বছরের বেশি। আদি রূপ আর ঐতিহ্য ধরে রেখে সুনিপুণভাবে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে কয়েক বছর আগে।পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক স্থাপত্য রীতির নতুন আরেকটি মসজিদ।

  • ১৮৬৮ সালে (বাংলা ১২৭৫; হিজরি ১২৮৫) দোলেশ্বর হানাফিয়া মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন দারোগা আমিনউদ্দীন আহম্মদ।

  • মসজিদটি তাই পরিচিতি পায় ‘দারোগা মসজিদ’ নামে। তার ছেলে মইজ উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন মসজিদের প্রথম মোতাওয়াল্লি।

  • বংশ পরম্পরায় এ মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজে নিয়োজিত ছিলেন খিদির বক্স ও কাদের বক্স নামে দুই সহোদর এবং মইজ উদ্দিন আহম্মদের পরিবার।

  • কাদের বক্সের দৌহিত্র সাবেক সাংসদ অধ্যাপক হামিদুর রহমান ১৯৬৮ সালে মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিতাংশ নির্মাণ করেন।

  • পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবং মূল অবকাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে মসজিদটির সর্বশেষ সংস্কার করেন অধ্যাপক হামিদুর রহমানের ছেলে বর্তমান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

  • দেড়শ বছরের পুরনো মসজিদটির সম্পূর্ণরূপে ঠিক রেখে এর সংস্কার কাজ করেন স্থপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ।এ সংস্কার কাজের শেষ হয় ২০১৮ সালে।

  • পুরনো মসজিদে এখন আর নামাজ পড়া হয় না। স্থাপনাটি রূপান্তর করা হয়েছে মক্তব আর পাঠাগারে।

  • পুরনো মসজিদের পাশেই আধুনিক স্থাপত্য রীতিতে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন আরেকটি মসজিদ।

  • লাল রঙের নতুন মসজিদটি কংক্রিটের তৈরি। বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া ছাদের অংশকে নিচ থেকে ধরে রেখেছে গাছের মত তৈরি শাখাওয়ালা কলাম।

  • মসজিদের ছাদ তৈরি হয়েছে ছয়টি আদালা ভাগে। ফলে উপর থেকেও ভেতরে প্রবেশ করে পর্যাপ্ত আলো। বাতাস চলাচলের জন্য মসজিদের চারপাশ রাখা হয়েছে খোলা। পুরো দিনই যথেষ্ট আলো-বাতাস থাকে বলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

  • নতুন এ মসজিদে একসঙ্গে দুই হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।

  • ২০২১ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা বা ইউনেস্কোর ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাওয়ার্ডস ফর কালচারাল হেরিটেজ কনসারভেশন’ পুরস্কার পেয়েছে মসজিদটি।