টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এক গবেষণার বরাতে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, গর্ভের শিশুর ওপর বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব জন্মের পর পরিণত বয়স পর্যন্ত রয়ে যায়।
গবেষণার এই ফলাফল সম্প্রতি ’অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস’ জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে। তবে দূষণের উপাদানগুলো ঠিক কীভাবে গর্ভের শিশুর ক্ষতি করছে, আর এক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জিন কোনো ভূমিকা রাখছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
কারমেন লাউ ও জোনাথন বেহলেনকে সঙ্গে নিয়ে টেক্সাস এঅ্যান্ডএম স্কুল অফ পাবলিক হেলথের সহযোগী অধ্যাপক নাটালি জনসন প্রাণীর শরীরে এই গবেষণার সম্পূরক পরীক্ষা করে দেখেছেন।
গবেষণকরা দূষণের জন্য দায়ী বায়ুবাহিত বস্তুকণাকে তিনভাগে ভাগ করেছেন – কোয়ার্স বা মোটা, ফাইন বা সূক্ষ্ণ এবং আলট্রাফাইন বা অতিসূক্ষ্ণ।
এই সূক্ষ্ণ বায়ুকণার ব্যাস দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রনের কম হয়। আর অতিসূক্ষ্ণ কণা এক মাইক্রনের দশ ভাগের এক ভাগ হয় আকারে। এসব কণাই মূলত বিশেষজ্ঞদের দুশ্চিন্তার কারণ।
এসব সূক্ষ কণার কারণে শ্বাসতন্ত্রের অসুখ বেড়ে চলেছে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। অতি সূক্ষ্ণ কণা বাতাসের স্তরে স্তরে সহজে ভেসে বেড়াতে পারে; এর অর্থ, এ ধরনের কণা স্বাস্থ্যের জন্য সূক্ষ্ণ কণা থেকে আরও বেশি ক্ষতিকর।
শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিয়ন্ত্রণ এবং কোষকে রক্ষা করে এনআরএফ২ জিন। বড়দের মধ্যে এর সক্রিয়তা দেখা গেলেও নবজাতক ও শিশুর বেলায় এর প্রভাব কতটুকু তা নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা নেই।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এনআরএফ২ জিন সক্রিয় ছিল না, এমন প্রাণীরা কম ওজনের শাবক জন্ম দেয়। এ শ্রেণির প্রাণীদের মধ্যে যারা দূষণের শিকার হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এমন প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।
বাতাসে অতিসূক্ষ্ণ কণার এর কারণ হতে পারে বলে ইঙ্গিতই দিচ্ছেন গবেষকরা। তাদের ভাষ্যে, বাতাসে এই ধরনের কণার একটি মান নির্ধারণ করে দেওয়া এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।