শুক্রবার সকালে শিমরাইলে
‘গ্র্যান্ড তাজ পার্টি সেন্টারে’ এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্ধিরগঞ্জ
থানা বিএনপির কয়েকজন নেতা কর্মী জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াস
উদ্দিনের অনুসারীরা কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সম্মেলনস্থল ‘গ্র্যান্ড তাজ পার্টি
সেন্টারে’ অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা সম্মেলনস্থলে হামলা চালালে আরেকটি পক্ষের
সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়ি
ও মারামারি হয়; উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সংঘর্ষের ব্যাপারে
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি সাংবাদিকদের বলেন, সম্মেলনে থানা
বিএনপির ১০টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থতিতে সেটা
ঘোষণা করার কথা ছিল।
“কিন্তু সম্মেলন শুরুর
আগেই অতর্কিতভাবে বহিরাগতরা এসে সম্মেলনস্থলে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এতে ১০ জন আহত
হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এ
ঘটনার পর আমি দলের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাহেবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের
বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করে আমাকে সম্মেলন স্থগিত করার নির্দেশ
দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের আদেশেই সম্মেলন
স্থগিত ঘোষণা করেছি।”
পরে আহতদের নিয়ে প্রতিবাদ
সভা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সভায় হামলার নিন্দা জানিয়ে নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে
ভেদাভেদ ভুলে দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির
সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ বলেন, “ইকবাল হোসেন বিগত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন,
আওয়ামী লীগ ঘেঁষা। পরিকল্পিতভাবে সম্মেলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী
কায়দায় হামলা করা হয়েছে।”
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির
সদস্য ও সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, “নেতাকর্মীরা
দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত দলীয় পদ পদবি থেকে। কোনো কর্মসূচি থাকলেও নেতাকর্মীদের জানানো
হয় না। আজ থানা বিএনপির সম্মেলনের ব্যাপারেও নেতাকর্মীদের কাউকে জানানো হয়নি।
“থানার বাইরের বিভিন্ন
স্থান থেকে ভাড়া করা লোক দিয়ে সম্মেলন করার চেষ্টা করা হয়। অথচ স্থানীয় নেতাকর্মীরা
অবহেলিত থাকে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে গেলে তারা এ ঘটনা ঘটায়।”
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার
ওসি মশিউর রহমান বলেন, সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন গ্রুপ ও মনিরুল ইসলাম রবির গ্রুপ চেয়ার
ছোড়াছুড়ি করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও সেখানে
কাউকে পায়নি। পুলিশ পৌঁছার আগেই নেতা-কর্মীরা সবাই চলে যান। এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি।