এসব হামলায় ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ৭ জন আহত হয়েছে বলেও দাবি রাশিয়ার। এর জবাবে ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর বলেছেন, সেখানকার একটি গ্রামে ইউক্রেইন গোলাবর্ষণ করেছে। তাদের হামলার মুখে পাশের আরেকটি গ্রাম থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দু’সপ্তাহ আগে বেলগোরোদ অঞ্চলে একটি তেলের ডিপোতে আগুন ধরে যাওয়ার জন্য ইউক্রেইনকে দোষারোপ করেছিল রাশিয়া।
তবে ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় ওই তেল ডিপোতে হামলাসহ সীমান্তে হামলার ঘটনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলার খবরের বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “চলতি বছরের ১৪ এপ্রিলে ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক কর্মকর্তারা দুটো জঙ্গি হেলিকপ্টারে ভারি অস্ত্র নিয়ে রাশিয়া ফেডারেশনের আকাশসীমায় ঢুকেছে।”
“খুব নিচু দিয়ে উড়ে গিয়ে এই হেলিকপ্টার দুটো ক্লিমোভো গ্রামে আবাসিক ভবনগুলোর ওপর অন্তত ৬ টি হামলা চালিয়েছে। এতে ছয়টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৭ জন আহত হয়েছে।” এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আরও হামলার আশঙ্কায় ব্রায়ান্সক অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে তাস বার্তা সংস্থা।
রাশিয়ার এফএসবি সিকিউরিটি সার্ভিস রাষ্ট্রীয় টিভি কে বলেছে, ক্লিমোভোর কাছে বুধবার একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে ইউক্রেইনের মর্টারের গোলা হামলায় কয়েকটি যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এদিনই হুঁশিয়ার করে বলেছে, ইউক্রেইনের এরকম ‘অন্তর্ঘাতী তৎপরতা এবং হামলা’ চলতে থাকলে কিইভ পাল্টা হামলার মুখে পড়বে।
“রাশিয়া ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর সেনারা কিইভসহ সিদ্ধান্ত প্রণয়ন কেন্দ্রগুলোতে হামলা করবে, যেসব কেন্দ্রে রুশ সেনারা এখন পর্যন্ত হামলা করা থেকে বিরত রয়েছে,” বলেছে মন্ত্রণালয়।