ম্যালয়েশিয়ার
নাগরিক সিনা এস্তাভি এনএফটি হিসেবে ডরসির প্রথম টুইট কিনেছিলেন ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
এ বছর নিলামে সেটির দাম উঠেছে মাত্র ছয় হাজার দুইশ ডলার; এস্তাভি যে দামে কিনেছিলেন
তার ০.২ শতাংশ।
ডিজিটাল সম্পদ
হিসেবে ডরসির টুইটের এনএফটিকে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির শিল্পকর্ম মোনালিসার সঙ্গে তুলনা
করেছেন এস্তাভি।
নিজের প্রথম টুইটে
ডরসি লিখেছিলেন ‘জাস্ট সেটিং আপ মাই টুইটার (just setting up my twttr)’। ২০০৬ সালের
মার্চ মাসের ওই টুইট ডরসি গত বছর এনএফটি হিসেবে একটি দাতব্য সংস্থার জন্য নিলামে তোলেন।
ব্লকচেইন প্রযুক্তির
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই এনএফটি-কে সংগ্রহে রাখার মত ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে উপস্থাপন
করেছেন ও প্রচার চালিয়েছেন। তবে এমন ডিজিটাল সম্পদের ধরা-ছোঁয়ার মত কোনো অস্তিত্ব না
থাকায় শুরু থেকেই বিতর্কিত হয়ে আসছে এনএফটির ধারণাটি। বিশেষজ্ঞরা অস্থিতিশীল বাজারের
ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করে আসছেন।
এপ্রিলের দ্বিতীয়
সপ্তাহে ডরসির প্রথম টুইটের এনএফটি আবারও বিক্রির জন্য এনএফটি মার্কেটপ্লেস ‘ওপেনসি’-তে
নিলামে তুলেছিলেন এস্তাভি।
বিবিসি জানিয়েছে,
নিলাম থেকে আসা অর্থের অন্তত অর্ধেক মার্কিন দাতব্য সংস্থা ‘জিভডিরেক্টলি’-তে দান করার
ঘোষণা দিয়েছিলেন এস্তাভি, যার পরিমাণ অন্তত আড়াই কোটি ডলার হবে বলে আশা ছিল তার।
সিনা এস্তাভি
মালয়েশিয়াভিত্তিক ব্লকচেইন প্রতিষ্ঠান ‘ব্রিজ ওরাকল’-এর প্রধান নির্বাহী। এস্তাভি এর
আগে ওই এনএফটি বিক্রির জন্য ১ কোটি ডলারের প্রস্তাব পাওয়ার দাবি করেছিলেন বলে জানিয়েছে
বিবিসি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার
পর্যন্ত নিলামে ওই এনএফটির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ছয় হাজার ২২২ ডলার। নিলামে ‘বড় ডাক’
না উঠলে এনএফটি বেচবেন না বলে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই বিবিসিকে জানিয়েছিলেন এস্তাভি।
তবে সেই ‘বড় ডাক’-এর আকার বা প্রত্যাশিত অর্থের পরিমাণ কত, সে প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি
তিনি।
বিবিসিকে এস্তাভি
বলেন, “গত বছর আমি যখন এই এনএফটি কিনি, তখন খুব কম মানুষই এনএফটি নামটির সঙ্গে পরিচিত
ছিল। এখন আমি বলছি যে এই এনএফটি ডিজিটাল দুনিয়ার মোনালিসা। এমন জিনিস একটাই আছে।”
“অনেক বছর পরে
মানুষ ঠিকই এনএফটির মূল্য উপলব্ধি করবে, মনে রাখবেন এটা,” আরও বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ভ্যালুয়েবলস’-থেকে ডরসির টুইটের এনএফটি কিনেছিলেন এস্তাভি। ক্রেতা
হিসেবে একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন তিনি, সেটি যাচাই করে ডিজিটাল স্বাক্ষর
বসিয়ে দিয়েছিলেন খোদ জ্যাক ডরসি।
এ ছাড়াও মূল টুইটের
মেটা ডেটা পেয়েছিলেন এস্তাভি। টুইটের টেক্সট কনটেন্ট এবং পোস্ট করার সময়ের মতো তথ্য
ছিল ওই মেটাডেটায়।
ক্রেতার খোঁজে
থাকলেও যে কারও প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন এস্তাভি। “আমার মনে হয় এই এনএফটির
মূল্য আপনার কল্পনার চেয়েও বেশি এবং যিনিই এটা কিনতে চান না কেন, তাকে যোগ্য হতে হবে,”
বলেন তিনি।