চাপরাশিরহাট
ইউনিয়নের পূর্ব নরসিংহপুর গ্রামে ওই পরিবারের বসবাস। গ্রামের সিরাজ ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির
গোলাম কুদ্দুসের স্ত্রী সাজেদা আক্তার এবং তার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়াকে বৃহস্পতিবার
বিকেলে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে কাউকে বাঁচানো যায়নি।
স্বজনদের
বরাত দিয়ে কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে বড় ছেলেকে মারধর করেন
গোলাম কুদ্দুস।এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার
বিকালে ঘরের মধ্যে গোঙানোর শব্দ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মা-মেয়েকে নোয়াখালী জেনারেল
হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক শিশু মাওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের পরামর্শে
চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় সাজেদাও মারা যান।
“পরিবারের
লোকজন জানিয়েছে, ওই ঘরে কীটনাশকের বোতল পেয়েছে তারা। তাদের ধারণা, রাতের ঝগড়ার জেরে
মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে পরে নিজেও পান করেন সাজেদা।”
গোলাম কুদ্দুসের
ভাই গোলাম সারোয়ার জানান, ১২ বছর আগে কুদ্দুস ও সাজেদার বিয়ে হয়। তাদের বড় ছেলের বয়স
১০ বছর।
এ ঘটনায়
এখনও কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি জানিয়ে ওসি বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল
দেখে এসেছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেব আমরা।”