বৃহস্পতিবার এক উষ্ণ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ‘মূল্য’ পুনরায় নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘‘প্রায় ৭৫ বছর ধরে বিস্তৃত পরিসরে পরষ্পরের স্বার্থে পাকিস্তান একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে আছে এবং আমরা আমাদের সম্পর্কের মূল্য দেই।”
“যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে এবং আমরা আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।”
উভয় দেশের স্বার্থের খাতিরেই যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নানা নাটকীয়তার পর স্থানীয় সময় গত শনিবার মধ্যরাতের পর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ইমরান খান।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী নিজের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ শেষ করতে পারননি। সে অর্থে বলতে গেলে, ইমরান পাকিস্তানের রেকর্ড অক্ষুন্ন রেখেছেন।
ইমরানের অভিযোগ ছিল, তাকে উৎখাত করতে বিদেশি ‘চক্রান্ত’ হয়েছে। তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইমরান হেরে যাওয়ার পর পার্লামেন্ট ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফকে বেছে নেয়।
ইমরান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়েছেন। পাকিস্তান ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা হলেও দেশটির গত কয়েকটি সরকার বরং প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে অধিক আগ্রহ দেখিয়েছে। ইমরানও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।
শাহবাজও যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ‘প্রিয়পাত্র’ বলে পরিচিত। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তিনি বেশ কয়েকবার চীন সফর করেন।